এ তিনটিই গদ্য ভাগে উপস্থিত বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ শাখা।
একটি বিষয় চরিত্র যুক্ত করে সাবলীলভাবে কাহিনীর পরিসমাপ্তি ঘটানোকে গল্প বলা যায়। ছোট গল্প আর বড়ো গল্প বলে দু’শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায় ‘গল্প’কে।
সাধারনত গল্প হয় দু ধরণের হয়ঃ
১) ছোট গল্প। ২) বড় গল্প। ছোট গল্পের দৈর্ঘ্য ছোট হয়। এর বর্ননাও হয় সংক্ষিপ্ত। সাধারনত ছোট গল্পে একটা বা দুইটা (নায়ক/নায়িকা) প্রধান চরিত্র থাকে।
এডগার এলান পপো এর মতে, যে গল্প অর্ধ হতে এক বা দুই ঘণ্টার মধ্যে এক নিশ্বাসে পড়ে শেষ করা যায়, তাকে ছোট গল্প বলে।
গল্প ও উপন্যাসঃ গল্প এর আকার বা এলাকা উপন্যাসের চেয়ে ছোট। গল্পে কল্পিত যেকোনো একটা ঘটরা তুলে ধরার চেষ্টা করেন গল্পকার আর বহুমুখী প্রসঙ্গ বৃহৎ পরিসরে তুলে।ধরা হয় উপন্যাসে।
উপন্যাস হচ্ছে গদ্য শৈলিতে বৃহত্তর বর্ণনামূলক গল্প বা কথাসাহিত্য, যেখানে বর্ণনা, কাহিনী, চরিত্র, সংলাপ ইত্যাদি যখন মানুষের জীবনের কাহিনীকে সুন্দর ও স্বার্থকভাবে ফুটিয়ে তুলে তার মধ্যে জীবনের কোনো অর্থ বা ভাষ্য প্রকাশ করা হয়।
আর প্রবন্ধ হচ্ছে সাহিত্যে বর্ণনামূলক গদ্য যা সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা।
প্রবন্ধের বিষয় শৈল্পিক, কাল্পনিক, জীবনমুখী, ঐতিহাসিক কিংবা আত্মজীবনীমূলক হয়ে থাকে। যিনি প্রবন্ধ রচনা করেন তাকে প্রবন্ধকার বলা হয।
উপন্যাসঃ এটা হল গল্পের পূর্বসূরী। wikipedia এর বর্ণনা মতে, (ইং:Novel) গদ্যে লেখা দীর্ঘাবয়ব বর্ণনাত্মক কথাসাহিত্য।কবিতা, নাটক ও ছোটগল্পের ন্যায় উপন্যাস সাহিত্যের একটি বিশেষ শাখা। আধুনিক সাহিত্যে এটি তুলনামূলকভাবে নতুন আঙ্গিক। যিনি উপন্যাস রচনা করেন তিনি ঔপন্যাসিক। উপন্যাস লেখার নির্দিষ্ট নিয়ম বা কাঠামো নেই। তবে সচরাচর এগুলো ছোটগল্পের তুলনায় বৃহদাকার হয়ে থাকে। অধিকন্তু উপন্যাসের আখ্যানভাগ ও চরিত্রের বিস্তার লক্ষিত হয়। হ্রস্ব দৈর্ঘ্যের উপন্যাসকে অনু-উপন্যাস বা ইংরেজীতে নভেলা (ইং:Novella) বলা হয়ে থাকে।উপন্যাসে পরিবেশ (milieu) বর্ণনা, প্লট, চরিত্র, সংলাপ ইত্যাদি যখন মানুষের জীবনের কাহিনীকে সুন্দর ও স্বার্থকভাবে ফুটিয়ে তুলে তার মধ্যে জীবনের কোনো অর্থ বা ভাষ্য প্রকাশ করা হয়। জীবনের এই রূপায়ণ উপন্যাসের মাধ্যমে পাঠকের কাছে বাস্তব বলে প্রতীয়মান হয়। নাটক, রাজাবলি (chronicle), কাব্য ইত্যাদি থেকে উপাদান গ্রহণ করে উপন্যাস রচনারও প্রথা রয়েছে। বস্তুত: উপন্যাসের রূপ অত্যন্ত নমনীয় ও মিশ্র। তাই এর নানা রূপভেদ চোখে পড়ে। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার মধ্যে উপন্যাস সর্বাধুনিক এবং সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় শাখা। অষ্টাদশ শতাব্দীর ইংল্যান্ডে প্রথম আধুনিক উপন্যাস রচিত হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিভাগে বাংলা ভাষায় প্রথম উপন্যাসের প্রবর্তন হয়। ইংরেজি ভাষায় ড্যানিয়েল ডিফো ও বাংলায ভাষায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়উপন্যাস ধারার প্রথম সার্থক রূপকার। তারপর থেকেই বিভিন্ন দেশে এই ধারার বিচিত্র ও বহুমুখী বিস্তার লক্ষ্য করা যায়।
লেখকবাংলাদেশ.কম সুবিন্যস্তভাবে গল্প, প্রবন্ধ ও উপন্যাসের এক সৃজনশীল ভুবনে পরিণত হবে।
কবিতা হলো সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। কবির ভাবনার স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশকেই এক কথায় কবিতা বলা যায়। কবির উপলব্ধি, আবেগ, অনুভূতি ইত্যাদির শৈল্পিকভাবে প্রকাশিত রূপই কবিতা। কবিতা হলো অনেকটা কবির জীবনভাবনা, কল্পভাবনা, অনুভূতি প্রকাশক।
কবি ও কবিতাঃ
কবির সাথে কবিতার এক নিবিড় সম্পর্ক: একটাকে বাদ দিয়ে অন্যটার পরিপূর্ণ চিন্তা করা কঠিন, দুরূহ। কবির স্বতঃস্ফূর্ত ও শক্তিশালি আবেগের প্রতিচ্ছবিই কবিতা, যেমনটি বিখ্যাত ইংরেজ কবি টি, এস ইলিয়ট সংজ্ঞায়িত করেছেন।
কবিতা কবিকে যেমন দেয় আত্মতুষ্টি, তেমনি পাঠককেও দেয় পরম আনন্দ, প্রশান্তুি।
কবি মধুসূদন যেমনটি বলেছিলেন – ‘কে কবি, কবে কে মোরে শব্দে শব্দে বিয়া দেয় যেই জন’।
কবিতার মাধ্যমে পাঠকের চিন্তা-চেতনাকে জাগ্রত হয়, প্রেরণা সৃষ্টি হয়। কাব্যভাবনা আমাদের।সৃজনশীল হতে।সহায়তা করে।
আমাদেরকে শেখায় ভালবাসতর, চীবনকে, জগতকর, প্রকৃতি ও সৃষ্টিকে, এমনকি সার্থক কল্পনাকেও।
কবি জীবনানন্দ বলেছেন- ‘সকলেই কবি নয় কেউ কেউ কবি’।অর্থাৎ কবিতা লিখলেই কবি হওয়া যায় না।
কবিতা লিখে বিখ্যাত হয়েছেন হোমার, বাল্মীকি, ব্যাসদেব প্রমুখ কবি। পরবর্তী কালে কালিদাস, ভারবি, শেলী, কীটস, বায়রন, ইয়েটস, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ দাশ প্রমুখ কবি অনবদ্য কবিতা লিখে জগতে বিখ্যাত হয়েছেন, সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।
-
সাধের শেষ নাই…..
-
দাদা ও দাদার পাঠানো চিঠিঃ দুটি কথা
-
একটি প্রেরণার গল্পঃ দিনমজুর জয়নালের লাইব্রেরী
-
তোষামুদে সমাজে উপরে উঠার তাড়া!
-
অধরা স্বপ্ন
-
সব থেকেও যেন কিছু একটা নেই
-
সাইকেল থেকে নেমে সম্মান প্রদর্শনঃ ছেলেবেলার শিষ্টাচার
-
ছেলেবেলাঃ সেকাল একালঃ পর্ব-২ঃ শীতকাল ও বিনোদন
-
“সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার”
-
আমরা মানুষ, বড্ড বিচিত্র!
-
সব সাধকের বড় সাধক…”
-
জীবন একমুখী গলি, স্বতন্ত্র যাত্রা
-
বিচ্ছিন্ন ভাবনা: মানুষ বড় বিচিত্র!
-
বাংকু ও সেকালের গ্রীষ্ম বিকাল
-
ছেলেবেলা : সেকাল একালঃ আমাদের খেলাধুলা
-
আমার দাদা মরহুম মো: আহমদুর রহমানঃ ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ
-
ভাদ্র মাসে কৃষিকাজঃ স্মৃতিকথা ও কৃষক সমাজের কীর্তিগাঁথা
-
প্রিয় নাজিমুল হোছাইন হিরো স্যারঃ বেঁচে থাকুন বহুদিন
-
জ্ঞানের আকাশের উজ্জ্বল তারকা, আলোর দিশারিঃ
-
তবুও চলতে হয় সামনে….
-
চাপটা সামাজিক, সমস্যা শতাধিক
-
গোলকধাঁধা
-
জীবনের অর্থ আপেক্ষিক, অনুভূতিও
-
পুরানোর আবেদনঃ Orwell এর Animal Farm: কিছু কথা
-
অগোছালো ভাবনাঃ মোরা সব ভুলে যাই
-
এককালের প্রাপ্তির আনন্দঃ আজকের উপলব্ধি
-
জীবনটা কতই না ছোট
-
তবুও আমরা মানুষ
-
পেছন ফেরার বিচিত্র তাগিদ
-
Which World Are We Heading to?
-
Witty Quotes in Shakespeare’s As You Like It: A Blending of Wisdom & Humour
-
Here You Are: A Brief Candle!
-
Think For Others
-
Things Fall Apart
-
প্রিয় জ্যোতিষ বড়ুয়া স্যারঃ বেঁচে থাকুন বহুদিন
-
“না” সমাচার
-
ইতিহাসের সৃষ্টিরূপে স্রষ্টারূপে বঙ্গবন্ধু
-
বিদগ্ধ অধ্যাপক ও অতিরিক্ত সচিব (অবঃ) একেএম শামসুল আলম স্যারের সাথে কিছু সময়
-
রম্যভাবনাঃ পাঠাও, হাঁটাও আর ভাসাওয়ের যুগে আমরা!!
-
লেখার শিরোনাম- জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসঃ প্রসঙ্গকথা