প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কতটুকু জানিঃ

Sep 28, 2021 | ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি-রাজনীতি | 0 comments

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কতটুকু জানিঃ
একজন অরাজনৈতিকের সংকলন
****
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর মানবিক বিশ্বের প্রধান নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন।
শত সহস্র অভিনন্দনের ভীড়ে এ কর্মবীরের দৈনন্দিন জীবন ও জীবনী সংগৃহীত তথ্য উপস্থাপনের তাগিদে এ সংকলন।
দৈনন্দিন জীবনঃ
তিনি খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন। প্রায় প্রতিদিন তাহাজ্জতের নামাজ আদায় করে কোরআন শরিফ তিলাওয়াত করেন। ফজরের নামজ আদায় করা শেষে বাসভবনে হাটাহাটি করেন কিছু সময়। এরপর গণভবনের পূর্বদিকের জানালা খুলে বসে থাকেন কিছু সময়। বাসভবনের ওই দিকটায় রয়েছে পুকুর। এর শেষ প্রান্তের সীমানা-প্রাচীরের পরেই চন্দ্রিমা উদ্যানের লেকের পাড়ে বিস্তৃত সবুজ। এভাবেই প্রতিদিন শুরু হয় প্রধানমন্ত্রীর সকাল।
গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। ১৯৭৫ সালে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের বেশির ভাগ সদস্য। সেখান থেকে একমাত্র শেখ রেহানা এবং শেখ হাসিনা দেশের বাহিরে ছিলেন। এরপর একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর দাবির মুখেই রাজনীতিতে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের ভাষ্য, আগের মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে সম্পাদন হওয়া অনেক কাজের অভিজ্ঞতা ও ঘাটতির বিষয় স্মৃতি থেকে অবতারণা করেন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার পর্যবেক্ষণও তুলে ধরেন। কখনও কখনও কোন কাজের ব্যয়ের খতিয়ান তিনি উল্লেখ করেন স্মৃতি থেকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ চলার পথ নির্বিঘ্ন ছিল না। সব সময়ই দেশের জঙ্গিদের নানা হুমকি আর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে তাকে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মতো দুঃখজনক ঘটনাও ঘটেছে। কাজ আর দায়িত্বের ভিড়ে একজন মানুষ হিসেবেও অসম্ভব সচেতন আর সজাগ দৃষ্টি তার। সামাজিক বা পারিবারিক কোন দায়িত্বই চোখ এড়ায় না এ মানুষটির।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাসভবনে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের থেকে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী নিরবিচ্ছন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সরকার ও দলের জন্য। খোঁজখবর রাখেন সব ক্ষেত্রের। নিজের কাজটুকু নিজের মতো করেন সব সময়। না দেখে, না পড়ে কোন বাণী বা ভাষণ কখন চূড়ান্ত করেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোন ফাইলে স্বাক্ষর দেয়ার আগে দেখে নেন এর খুঁটিনাটি। একজন রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তার প্রতিটি দিনই কর্মব্যস্ত এবং নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী চলে। সরকারি ছুটির দিনগুলোতেও থাকেন সমান ব্যস্ত।

সকালে নাশতা খাওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী সব কয়টি খবরের কাগজ পড়েন। এরপর পত্রিকার ক্লিপিংয়ের ওপর চোখ বুলান। খবরের কাগজ থেকে প্রয়োজনীয় নোট সংগ্রহ করেন। কোথাও কোন অসঙ্গতি চোখে পড়লে তা কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেন। সমস্যা হলে সমাধানের নির্দেশনা দেন।
এরপর নাশতা সেরে প্রস্তুতি নেন অফিস বা নির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার। অফিসে গেলে নির্ধারিত সময়ে তিনি সেখানে পৌঁছে যান। আর কর্মসূচি থাকলে তাও সাধারণত সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যেই শুরু হয়ে থাকে। ঢাকার বাইরে কোন কর্মসূচি থাকলে আরও আগেই বাসা থেকে বের হতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অফিস করলে সাধারণত দিনভরই নানা কাজে তিনি ব্যস্ত থাকেন। সেখানে নির্ধারিত সরকারি কর্মসূচি, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ দেয়া ও ফাইলপত্রে সই করেন তিনি। এর ফাঁকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাদেরও নির্দেশনা দেন কার্যালয়ে বসেই। সংসদ অধিবেশন থাকলে তাতে নিয়মিত অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

অধিবেশন চলাকালে তিনি সংসদে অবস্থান করেন অধিবেশন শেষ হওয়া পর্যন্ত। সংসদ অধিবেশন না থাকলে প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যায় গণভবনে দলীয় নেতাকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎ দেন। সাধারণত দলীয় নেতাকর্মী ও ব্যক্তিগতভাবে সাহায্যপ্রার্থীরা গণভবনের পাস সংগ্রহ করে তার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান। প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করেন। সাধারণত রাত ১১টায় বিশ্রামে যান তিনি। সন্ধ্যার পর টেলিভিশনের সংবাদ দেখেন নিয়মিত।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে। এ ছাড়া সুযোগ পেলেই তিনি নিয়মিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে যান । মন্ত্রণালয়গুলোর কাজে গতি আনতেই প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের কর্মসূচি হাতে নেন। এ ছাড়া নিজের অধীনে থাকা মন্ত্রণালয়গুলোর সার্বিক কার্যক্রম নিজেই তদারক করেন। এসব মন্ত্রণালয়ের বৈঠকগুলোতেও নিয়মিত অংশ নেন। সরকারি কাজের ব্যস্ততার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী দলীয় কাজে অংশ নেন নিয়মিত। দলের কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গণভবনেই। এসব বৈঠকে তিনি নিয়মিত সভাপতিত্ব করেন।
এ ছাড়া বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে দলীয় সভা-সমাবেশেও অংশ নেন। দলের সহযোগী সংগঠন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ ভ্রাতৃপ্রতীম অন্য সংগঠনের নেতাদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন এবং এসব সংগঠনের কর্মসূচিতেও অংশ নেন তিনি।
এ ছাড়া মহানগর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করেন তিনি। সাংগঠনিক বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেন। এ ছাড়া সুযোগ পেলে সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়েও যান তিনি। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বিশাল কর্মযজ্ঞও সম্পাদন হয় তার নির্দেশনায়। প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত এ ট্রাস্টের সভায় অংশ নেন।
তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা ও একনেকের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মানের বিষয়ে নিজস্ব চিন্তা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরে দিকনির্দেশনা দেন।

গণভবন সূত্র জানায়, সরকারি ও দলীয় কাজের বাইরে একজন মা এবং অভিভাবক হিসেবে পরিবারের সদস্যদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন তিনি। ছেলেমেয়ে, স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নিয়মিত। পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এমনকি ঘনিষ্ঠজন ও দলীয় অনেকের পারিবারিক বিষয়েও খোঁজখবর রাখেন তিনি। নিজের পরিবার ছাড়া গণভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়েও খোঁজখবর রাখেন। শবেবরাত বা কোন বিশেষ দিনে নিজ হাতে মিষ্টান্ন তৈরি করে তা সবার মধ্যে বিতরণ করেন।
জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ যে কোন ঘটনার ওপরও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন প্রধানমন্ত্রী। কোথাও বড় কোন ঘটনা ঘটলে ওই ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি সরাসরি যোগাযোগ করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। কখনও কখনও নিজেই প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। নানামুখী দায়িত্ব পালনের মধ্যেও ক্লান্তি বুঝতে দেন না কখনও। রাষ্ট্র ও রাজনীতির মাঠে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর ক্লান্তিহীন পথচলায় অনেক সময় বিস্মিত হন তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারাও।

জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তির সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক থাকায় প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানাদিতে তিনি তাদের আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও আওয়ামী লীগের খবর সংগ্রহ করা সাংবাদিকদের সঙ্গে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করা সাংবাদিকদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে তিনি খোঁজখবর। রাখেন।

জীবনী-সংক্ষেপঃ শেখ হাসিনা
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
১৯৯৬ সালের ২৩ জুন তিনি প্রথম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সে বছরের ১২ জুনের সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল।
২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে তৎকালীন তত্ত্ববধায়ক সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তাঁর দল আওয়ামী লীগ পরাজয় বরণ করে। শেখ হাসিনা বিরোধীদলের নেতা নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে বিএনপি-জামাত সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে জটিলতা সৃষ্টি করলে সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। প্রায় ২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ঐ সরকার ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৯ম সংসদীয় নির্বাচনের আয়োজন করে। এই নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এর আগে ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনা ৩টি সংসদীয় আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এই নির্বাচনের পরেই দেশ থেকে সামরিক আইন প্রত্যাহার করে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। শেখ হাসিনা নববইয়ের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং এই আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়।
১৯৯১ সালের সংসদীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন। তিনি রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন করে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলসহ সকলকে সংগঠিত করেন।
১৯৯৬ সালে বিএনপি’র ভোটারবিহীন নির্বাচনের বিরুদ্ধে তিনি গণআন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের মুখে ৩০ মার্চ তৎকালীন খালেদা জিয়ার সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়।
মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সবসময়ই আপোষহীন। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনায় দায়িত্ব নিয়ে তাঁর সরকার ১৯৭১ সালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের জন্য আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের আওতায় স্থাপিত ট্রাইবুনাল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে এবং রায় কার্যকর করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৫ সমত্মানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রসংসদের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি ছিলেন। শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা সেসময় পশ্চিম জার্মানীতে অবস্থান করায় বেঁচে যান। পরবর্তীকালে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে ৬ বছর ভারতে অবস্থান করেন। ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডে থেকে তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন।
১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠির রোষাণলে পড়েন। তাঁকে বারবার কারান্তরীণ করা হয়। তাঁকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ১৯ বার সশস্ত্র হামলা করা হয়।
১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সামরিক সরকার তাঁকে আটক করে ১৫ দিন অন্তরীণ রাখে। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি এবং নভেম্বর মাসে তাঁকে দু’বার গৃহবন্দী করা হয়। ১৯৮৫ সালের ২রা মার্চ তাঁকে আটক করে প্রায় ৩ মাস গৃহবন্দী করে রাখা হয়। ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে তিনি ১৫ দিন গৃহবন্দী ছিলেন। ১৯৮৭ সালে ১১ নভেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে এক মাস অন্তরীণ রাখা হয়। ১৯৮৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা গ্রেফতার হয়ে গৃহবন্দী হন। ১৯৯০ সালে ২৭ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধু ভবনে অন্তরীণ করা হয়। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে সংসদ ভবন চত্বরে সাবজেলে পাঠায়। প্রায় ১ বছর পর ২০০৮ সালের ১১ জুন তিনি মুক্তিলাভ করেন।
শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে উল্লেখযোগ্য হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে তাঁকে লক্ষ্য করে পুলিশের গুলিবর্ষণ। এতে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, বাবুল ও ফাত্তাহ নিহত হন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাঁকেসহ তাঁর গাড়ি ক্রেন দিয়ে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে এরশাদ সরকারের পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা অক্ষত থাকলেও ৩০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী শহীদ হন। লালদীঘি ময়দানে ভাষণদানকালে তাঁকে লক্ষ্য করে ২বার গুলি বর্ষণ করা হয়। জনসভা শেষে ফেরার পথে আবারও তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করা হয়।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য বারবার হামলা করা হয়। ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন চলাকালে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে তাঁর কামরা লক্ষ্য করে অবিরাম গুলিবর্ষণ করা হয়। ২০০০ সালে কোটালীপাড়ায় হেলিপ্যাডে এবং শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে ৭৬ কেজি ও ৮৪ কেজি ওজনের দু’টি বোমা পুতে রাখা হয়। শেখ হাসিনা পৌঁছার পূর্বেই বোমাগুলো সনাক্ত হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। বিএনপি সরকারের সময় সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হয় ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট। ঐদিন বঙ্গবন্ধু এভিন্যুয়ে এক জনসভায় বক্তব্য শেষ করার পরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে এক ডজনেরও বেশি আর্জেস গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। লোমহর্ষক সেই হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও আইভি রহমানসহ তাঁর দলের ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন এবং ৫ শোর বেশি মানুষ আহত হন। শেখ হাসিনা নিজেও কানে আঘাত পান।
শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ভাত-ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা। বাংলাদেশ পেয়েছে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা। শেখ হাসিনার অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।
শেখ হাসিনার শাসনামলে আর্থ-সামাজিক খাতে দেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো ছিল: ভারতের সাথে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং-সম্পূর্ণতা অর্জন। এছাড়া, তিনি কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন, দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: দুস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প।
২০০৯-২০১৩ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৩,২৬০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, গড়ে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন, ৫ কোটি মানুষকে মধ্যবিত্তে উন্নীতকরণ, ভারত ও মায়ানমারের সাথে সামুদ্রিক জলসীমা বিরোধের নিষ্পত্তি, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কৃষকদের জন্য কৃষিকার্ড এবং ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা, বিনা জামানতে বর্গাচাষীদের ঋণ প্রদান, চিকিৎসাসেবার জন্য সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কম্যুনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৩৮.৪ থেকে ২০১৩-১৪ বছরে ২৪.৩ শতাংশে হ্রাস, জাতিসংঘ কর্তৃক শেখ হাসিনার শান্তির মডেল গ্রহণ ইত্যাদি।
২০১৪ সালের পর এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণ, ভারতের পার্লামেন্ট কর্তৃক স্থল সীমানা চুক্তির অনুমোদন এবং দুই দেশ কর্তৃক অনুসমর্থন, (এরফলে দুই দেশের মধ্যে ৬৮ বছরের সীমানা বিরোধের অবসান হয়েছে), মাথাপিছু আয় ১,৩১৪ ডলারে উন্নীতকরণ, দারিদ্র্যের হার ২২.৪ শতাংশে হ্রাস, ২৫ বিলিয়ন ডলারের উপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন শুরু ইত্যাদি।
শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বিশ্বের বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন ডিগ্রি এবং পুরস্কার প্রদান করে।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটি, ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়, স্কটল্যান্ডের অ্যাবারটে বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের বিশ্বভারতী এবং ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্রাসেলসের বিশ্ববিখ্যাত ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়, রাশিয়ার পিপলস ফ্রেন্ডশিপ বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। এছাড়া ফ্রান্সের ডাওফি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিপ্লোমা প্রদান করে।
সামাজিক কর্মকান্ড, শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকার জন্য শেখ হাসিনাকে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা সস্মানিত করেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সুদীর্ঘ ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো তাঁকে ‘‘হুপে-বোয়ানি’’ (Houphouet-Boigny) শান্ত পুরস্কারে ভূষিত করে।
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার জন্য যুক্তরাস্ট্রের রানডলপ ম্যাকন উইমেন্স কলেজ ২০০০ সালের ৯ এপ্রিল মর্যাদাসূচক “Pearl S. Buck ’৯৯’’ পুরস্কারে ভূষিত করে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনাকে সম্মানজনক ‘সেরেস’ (CERES) মেডেল প্রদান করে। সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ শেখ হাসিনাকে ১৯৯৮ সালে ‘‘মাদার টেরেসা’’ পদক প্রদান করে। ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক রোটারি ফাউন্ডেশন তাঁকে Paul Haris ফেলোশিপ প্রদান করে। পশ্চিমবঙ্গ সর্বভারতীয় কংগ্রেস ১৯৯৭ সালে তাঁকে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু স্মৃতি পদক প্রদান করে। আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাব কর্তৃক ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে তিনি ‘‘Medal of Distinction” পদক ও ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে “Head of State” পদক লাভ করেন। ২০০৯ সালে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অসামান্য ভূমিকা পালনের জন্য শেখ হাসিনাকে ইন্দিরা গান্ধী পুরষ্কারে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি বৃটেনের গ্লোবাল ডাইভারসিটি পুরস্কার এবং ২ বার সাউথ সাউথ পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৪ সালে ইউনেসকো তাঁকে ‘শান্তিরবৃক্ষ’ এবং ২০১৫ সালে উইমেন ইন পার্লামেন্টস গ্লোবাল ফোরাম নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তাঁকে রিজিওনাল লিডারশীপ পুরস্কার এবং গ্লোবাল সাউথ-সাউথ ডেভলপমেন্ট এক্সপো-২০১৪ ভিশনারি পুরস্কারে ভূষিত করে। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন, খাদ্য উৎপাদনে সয়ম্ভরতা অর্জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে অবদানের জন্য আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫ সালে তাঁকে সম্মাননা সনদ প্রদান করে।
জাতিসংঘ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচি দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশ এবং টেকসই উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য লিডারশীপ ক্যাটাগরিতে শেখ হাসিনাকে তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ-২০১৫’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এছাড়া, টেকসই ডিজিটাল কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য International Telecommunication Union (ITU) শেখ হাসিনাকে ICTs in Sustainable Development Award-2015 প্রদান করে।
শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি গ্রন্থের রচিয়তা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: ‘‘শেখ মুজিব আমার পিতা’’, ওরা টোকাই কেন?, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’’, দারিদ্র্য বিমোচন, কিছু ভাবনা’’, ‘‘আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম’’, আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি’’, ‘‘সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র’’, ‘‘সাদা কালো’’, ‘‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’’, Miles to Go, The Quest for Vision-2021 (two volumes)।
শেখ হাসিনা ‘‘জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’’ এর সভাপতি। তিনি গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা, সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ও অগ্রগতিতে বিশ্বাসী এবং দরিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন তাঁর জীবনের অন্যতম লক্ষ্য । প্রযুক্তি, রান্না, সঙ্গীত এবং বই পড়ার প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।
তাঁর স্বামী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া ২০০৯ সালের ৯ মে ইন্তেকাল করেন।
শেখ হাসিনার জ্যেষ্ঠ পুত্র সজীব আহমেদ ওয়াজেদ একজন তথ্য প্রযুক্তি বিশারদ। তাঁর একমাত্র কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদ একজন মনোবিজ্ঞানী এবং তিনি অটিস্টিক শিশুদের কল্যাণে কাজ করছেন। শেখ হাসিনার নাতি-নাতনীর সংখ্যা ৭ জন।

(সরকারী ওয়েবসাইট http://www.pmo.gov.bd ও অনলাইন পত্রিকা থেকে সংগৃহীত)

লেখাটি লিখেছেন