Re-discovering parts of Bangladeshঃ নিজের দেশে নতুন বেশে!
—-
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশিরবিন্দু।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথাগুলো অবিস্মরণীয়। হৃদয়স্পর্শী। ভাবনা-জাগানিয়া।
W.H. Davies ১৯১১ সালে লেখা তাঁর
Leisure (1911) কবিতায় কিছু ভাবনা-জাগানিয়া কথা লিখেছেন, হয়তো শতবর্ষ পরে এসে আমাদের অতি-ব্যস্ততা নিয়েই!
What is this life if, full of care,
We have no time to stand and stare?-
No time to stand beneath the boughs
And stare as long as sheep or cows:
….
A poor life this if, full of care,
We have no time to stand and stare.
আজ দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালীর কিছু অংশ কিছুক্ষণের জন্য ঘুরার সুযোগ হয়৷ দেশের অধিকাংশ মানুষের যে কৃষ্টি-কালচার-অর্থনীতি বা আচার, সমাজনীতি, পেশা, নেশা, সেসবের সাথে কন্যাকে কিছুটা পরিচিত করানো গেলো বৈকি… নতুন প্রজন্মের একটা অংশ জানেনা ‘সব সাধকের বড় সাধক’ আমাদের চাষা.. তারা চেনেনা ‘উঁচে’কি, ‘জোনা’ কি, ‘হাডি’ কি! অথচ এ দেশের মূল অংশ গ্রামই….
এ বাংলার পরতে পরতে রয়েছে যে সুর, লয়, তাল, গান, কবিতা, ছন্দ, এ বাংলার মাঠে ঘাটে এখনো রয়েছে জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, রবী ঠাকুরের সোনার বাংলা, জসিমউদ্দীনের নকশী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, মধুসূদনের কপোতাক্ষ নদ, আবদুল হালিম, আব্বাস উদ্দিন, লালন…
সে বাংলা একেক ঋতুতে নেয় একেক অপূর্ব রূপ, অপরূপ… এখন নবান্নের এ রূপ যেন চোখ জুড়াবে, সুনিশ্চিত..
জীবনানন্দের দুটি প্রিয় লাইন যেন সমাপ্তিতে দীপ্তিঃ
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর’।
–
মোঃ নাজিম উদ্দিন
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩