Inherited Guilt আর সম্মানের উত্তরাধিকার
মানুষ বড় অদ্ভুদ প্রাণী। অনেক মানুষ নিজের সম্পদ নিজে ভোগ বা ব্যবহার না করে এমন ভাবে জমিয়ে রাখে, যেনো সে চিরস্থায়ী বাঁচার জন্য মর্ত্যে এসেছে!
আরেক শ্রেণির মানুষ আছে, যারা বহু দিন ধরে জমানো সম্পদ শুধুমাত্র নিজের মানসিক সন্তুষ্টি আর পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে বদ্ধপরিকর- আর এমন মানুষের সংখ্যাই সমাজে বেশি। এক সময় প্রজন্মের সদস্যরা শুধু সঞ্চিত সম্পদের লোভেই বৈষয়িক বা একাডেমিক কোন অর্জনের পেছনে ছুটতে চায়না! বরয মনে মনে, কোন ক্ষেত্রে সশব্দে প্রত্যাশা করে, সম্পদ অর্জন ও সঞ্চয়কারী সে অগ্রজই যেন না থাকুক বেশিদিন! যাতে তারা ভোগ করতে পারে অপেক্ষা ছাড়াই!
আরেক শ্রেণির মানুষ আছেন, বিশাল সম্পদ যাদের রেখে যেতে কষ্ট করে, তাদের নৈতিকতা না শিখিয়ে, ধর্মীয় ও মূলবোধসম্পন্ন জ্ঞানের তাগিদ না দিয়ে বৈষয়িক বিষয়ে জ্ঞানার্জনের তাগিদ দেন। ধর্মীয়য় মূল্যবোধ শিক্ষা দেয়াকে বরং বোকামি ভাবেন এহেন Utilitarian বা Machievellian সম্প্রদায়!
ফলে তারা পিতা কে, মাতা কে, কী তাঁদের সম্মান, কী করা উচিত তাঁদের সেবায়- এসব জানে না বা শিখে না। ফলে, অর্জনকারী সবসময় ব্যবহারকারী বা ভোগকারী হন না। বড়ই বিচিত্র এ দুনিয়া!
নিজের সকল সম্পদ থেকেও বঞ্চিত হন অনেক অর্জনকারী! ধুঁকে মরেন
শেষ কালে! তবে নতুন বা বঞ্চনাকারী প্রজন্মও একই ববা আরো বেশি কষ্ট ভোগে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে।
এভাবে Greek বা Medieval Literature এ বর্ণিত Inherited Guilt এর Natural Unnatural Retribution চলতে থাকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম…
অপরদিকে অপেক্ষাকৃত কম সম্পদশালী কিছু পিতামাতা, মূল্যবোধসম্পন্ন পিতামাতা তাদের পুত্রদের পরিপূর্ণ শিক্ষা প্রদান করেন। জীবনে পিছিয়ে থাকলেও তারা মানবিকতার শীর্ষ অবতরণ অবগাহন করেন। তারা সম্পদ কম পান। তবে পুত্র কন্যার কাছ থেকে অগাধ সম্মান শ্রদ্ধা পান, যা সারা পৃথিবীর সকল সম্পদের চেয়ে অধিক মর্যাদার, গৌরবের। এ সম্মানও চলতে থাকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।। এ যেন Inherited Honor, inherited blessings..
কী দারুন সব দৃশ্য!
—
নাজিম
আগষ্ট ৪, ২০২২