স্বগতোক্তি – জিজ্ঞাসিব জনে জনে!
কখনোই বলেছি কি তোমায়,
যে দ্বারে পথচলা সদাই..
সে দ্বারোম্মোচন করবো তথায়;
কভু কি বলেছিনু মুই?
তব আঙ্গুলিহেলনিতেই হবে
দিগন্ত আর গন্তব্য সেথায়!
তবে কি কভু বলেছিনু
যাচ্ছেতাই ক্রিয়াপদ দেখেও
নিশ্চুপ দর্শক হবে নীরব?
তাহলে কি ভেবেই রেথেছো
পাথরের দেয়াল দিয়েছি মনে
সকল আহবানে নীরব রবো?
তুমি কি শুনেছো স্বজন,
দুর্জনের জন্যও হবো সজ্জন?
তুমি কি ভেবেছো তবে
চেষ্টুকেরও রবে না অর্জন?
মিতভাষী কন্ঠ দেখেছো বলেই
ভেবেছো কি হবে না গর্জন?
কখনো প্রতিবাদ হয়নি বলে
ভেবেই কি রেখেছো মৌন সব?
বাঁধভেঙ্গে ঢেউ যবে নগরে ঢুকে
হয় না কি জলরাশি সরব?
অথৈ জলরাশি নিভালেও প্রদীপ
ভেসে উঠে আশার ব-দ্বীপ!
দীর্ঘকাল শীত দেখেছো বলেই
যদি ভেবে থাকো বসন্ত সুদূর,
জেনে রেখো অমোঘ বিধান
তিক্তের পরেই সদা মধূর!
বিনয়ের সুরে বীণা বেজেছে বলেই
উদ্ভট সুরও সে কি সইবে?
তাল-লয়ে সদয় ছিল বলেই
বজ্রকন্ঠ ধ্বনি কি ভুলিবে?
কুয়াশার চাদরে ঢাকা বলেই
দূর পরাভূত কি রৌদ্র-রবি?
অালোকছ্বটা এবার উঠিবে ঠিকই
ঠিক যেন বিজয়েরই ছবি…
সদা যে নিশ্চুপ নীরবেই ছিলো
ছিল তার নৈঃশব্দের হাকাকার!
সব অতীত পুনর্বার হবে না পুনঃ
অাসিবে সে সুতীব্র চিৎকার!
হেরে যাবে জেনে লড়বেনা তাই
এমনটা ভেবেছো যে মশাই!
লড়াই যে শুরু হয় নিয়মে বিধানে
সংশপ্তকেরা আলোর দিশাই!
ভেবেছো কি যেভাবে দেখো
তাই যা দেখি সদা নেত্রেই?
পর্দার আড়ালেতে অজানারে দেখো
জেনে নিও সর্বাধিক ক্ষেত্রেই!
———————
মো. নাজিম উদ্দিন:
২৫-১০-২০১৯
Nazim3852@gmail.com