জুমা দিবসের ভাবনা-১৫: ধর্ম কর্মেও

Nov 15, 2024 | Uncategorized | 0 comments

View : 33
 

জুমা দিবসের ভাবনা-১৫:
ধর্ম কর্মেও

ধর্মের কাজ করতে গিয়ে কর্মকে অবহেলা করা আমাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। অথচ সকল ভালো কর্মই ধর্মে অন্তর্ভুক্ত। যে যে ধর্ম পাল করে থাকে, সে ধর্মের কিছু নিজস্ব বিধি নিষেধ রয়েছে, রয়েছে দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিধান। ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান হিসেবে ইসলামী শরীয়াহর বিষয়গুলো মেনে চলে পরিচালিত জীবন ব্যবস্থার প্রতিটি ভালো কাজই সৎকর্মে পর্যবসিত হয়।
এসব সৎকর্মের উল্লেখযোগ্য কিছু হলো, মানুষের সেবা করা, মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ, সমাজ রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ববোধ, মুসলিম উম্মাহর প্রতি দায়িত্ববোধ: আর যেসব নিষেধের কথা রয়েছে, তাদের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য কিছু হলো: অপর মানুষকে কষ্ট না দেয়া, মুখ ও হাত দ্বারা যেন অপরজন কষ্ট না পায়.

এভাবে দেখা যায়, ধর্মীয় বিধিনিষেধ মেনে চলার পরই প্রধানতম বিষয় মানুষ: সে মানুষের প্রতি দায়িত্বের লেভেলটা হেরফের হয়: যেমন, পিতামাতার প্রতি সর্বোচ্চতম দায়িত্ব ও সহনশীলতা, ভাইবোন আত্মীয় স্বজনের সাথে সুন্দর সম্পর্ক সদ্ভাব বজায় রাখা, প্রতিবেশির সাথে সুসম্পর্ক ইত্যাদি।

আল্লাহ বলেন: আর তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তোমরা তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করো। তাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাঁদেরকে ‘উফ্’ বলো না এবং তাঁদেরকে ধমক দিও না, বরং তাদের সাথে নম্র ও ভদ্রভাবে কথা বলো।” (সূরা আল-ইসরা, আয়াত ২৩)।

কুরআনে আল্লাহ বলেছেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়বিচার, সদাচার ও আত্মীয়স্বজনের প্রতি সদয় আচরণ করতে নির্দেশ দেন এবং অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও অবাধ্যতা থেকে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন, যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করো। (সূরা আন-নাহল, আয়াত ৯০)।

হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: তিনি ঈমানদার হতে পারে না, যে তার প্রতিবেশীকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় রেখে নিজে তৃপ্ত থাকে। (সহিহ বোখারি)।

হাদিসে আরো এসেছে, “সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যে মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি কল্যাণকারী। (আল-মুআত্তা)

এতে বুঝা যায়, স্রষ্টার প্রতি এবাদত বিনীত নিবেদন প্রার্থণার পর সবচেয়ে বেশি জরুরী মানুষের উপকার করা এবং মানুষকে কষ্ট না দেয়া…

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিক জ্ঞান দান করুন। আমিন।

——————
সংগ্রহ ও সংকলনে~~~~
মোঃ নাজিম উদ্দিন
নভেম্বর ১৫, ২০২৪