জুমা দিবসের ভাবনা-১২- হিসাব সংরক্ষণঃ
‘ঋণের বিষয় লিখে রাখো।’
————————–
সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে দৈনন্দিন কাজে বা প্রয়োজনে আমাদের অন্যের কাছ থেকে ঋণ নিতে হয় বা ধার করতে হয়।বিপদগ্রস্থকে কর্জ বা ধার দেয়া অনেক পুণ্যের কাজ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমে মানুষকে উত্তম ঋণ প্রদানের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। উত্তম ঋণের বহুগুণ বিনিময় ঘোষণা করেছেন। যাতে মানুষ পরস্পরের বিপদে এগিয়ে আসে।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘কে আছে যে আল্লাহকে কর্জে হাসানা উত্তম ঋণ দেবে, তাহলে তিনি তার জন্য একে বর্ধিত করে দেবেন এবং তার জন্য সম্মানজনক প্রতিদানও রয়েছে।’ -(সুরা-৫৭ হাদিদ, আয়াত: ১১)।
পবিত্র কোরআন ও হাদিসে একদিকে ঋণ প্রদানকে উৎসাহিত করা হয়েছে, অপরদিকে ঋণ পরিশোধের বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যারা ঋণ পরিশোধে টালবাহানা করবে তাদের জন্যে হুঁশিয়ারিও উচ্চারিত হয়েছে।
ঋণ প্রদান করে ঋণদাতা গ্রহীতাকে উপকার ও অনুগ্রহ করে থাকে। কিন্তু ঋণ পরিশোধ কোনো অনুগ্রহ নয়, বরং ঋণগ্রহীতার ওপর এক অবধারিত দায়িত্ব।
ঋণের ব্যাপারে ইসলামে রয়েছে কঠোর নির্দেশনা। ইরশাদ হয়েছে,
‘হে মুমিনগণ! তোমরা যখন পরস্পরে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ঋণের আদান-প্রদান কর, তখন তা লিখে নাও।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২৮২)।
হযরত ছোহায়েব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি ঋণ গ্রহণ করেছে কিন্তু তা পরিশোধ করার ইচ্ছা পোষণ করেনি সে ব্যক্তি চোর সাব্যস্ত হয়ে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে।’ (ইবনে মাজাহ, তারগিব)
পবিত্র জুমার দিনে মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদঃ আল্লাহ আমাদের সঠিক জ্ঞান অর্জনের তৌফিক দান করুন।
—
মোঃ নাজিম উদ্দিন
ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪