একটি প্রেরণার গল্পঃ দিনমজুর জয়নালের ৩৫০০ বইয়ের লাইব্রেরী
———————–—–
রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে, কিন্তু বইটি অনন্ত যৌবনা…ওমর খৈয়াম..
বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না- সৈয়দ মুজতবা আলী..
কিংবা “Reading maketh a full man..” Francis Bacon…
একটা ভাল বই অনেক ভাল বন্ধুর সমান।
অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জ্ঞানপিপাসুগণ কখনো বইয়ের জগত থেকে বিচ্ছিন্ন রাখেননি নিজেদের। আমাদের দেশে বইপড়ার হার কম হলেও কিছু উদাহরণ প্রেরণা দেয়, দেয় প্রাণসঞ্জীবনী।
চিন্তা করার গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাসটা আর সুচিন্তাকে কাজে পরিণত করার শক্তি দান করে বই। নিজের একটি ছোট পাঠাগার তৈরী করা যায়। হোক তা ৫-১০-১০০ বা ২০০টি বইয়ের। এ রাজ্য আপনার।
#পত্রিকান্তরে প্রকাশ, কুড়িগ্রামের জয়নাল আবেদিনের ‘সাতভিটা গ্রন্থনীড়’ তেমনই এক প্রেরণার গল্প, অনুপ্রেরণার উদাহরণ।
মানুষের ইচ্ছে শক্তি তার সকল সীমাবদ্ধতাকে জয় করতে সাহায্য করে, কথাটি আমি সুদৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
নিজের আর্থিক সামর্থ্যের সীমাবদ্ধ অতিক্রম করে আজ দেশ বিদেশে বই পড়ুয়াদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছেন বইপ্রেমি জয়নাল আবেদিন।
হাজারো সংকট, দুঃসংবাদের মধ্যে এমন প্রেরণার সংবাদ আবার সকল শক্তি একত্রিত করতে সাহায্য করে।
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র প্রচারের সুবাদে সত্যিকারের বইপ্রেমী পলান সরকারের কথা আমরা জেনেছিলাম। পরবর্তীতে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয় এ প্রেরণা সঞ্জীবনী ব্যক্তিত্বের নাম।
বই পড়া, পাঠাগার স্থাপন, পারিবারিক পাঠাগার তৈরি ইত্যাদি বিষয বিভিন্নভাবে আলোচনায় আসলেও তা সমন্বিতভাবে গালে পানি পায়নি। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, ঢাকার বুকল্যান্ড লাইব্রেরীসহ কিছু সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান কাজ করছে এ নিয়ে। তবে এ সংখ্যা বৃদ্ধি হোক, বৃদ্ধি করার কাজে সচেতন শিক্ষিত সমাজ এগিয়ে আসুক, নতুন প্রজন্মের হাতে পৌঁছে যাক জ্ঞানবাহন বই, এ প্রত্যাশা।
উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম শহরের ২০ কিলোমিটার দূরে সাতভিটায় তিলে তিলে তৈরি করা এ পাঠাগারের পেছনে জয়নাল আবেদিনের শ্রম, সাধনা, সংগ্রামের এ গল্প প্রেরণার উদাহরণ হয়ে থাকুক, অনেক দিন ধরে….
কুড়িগ্রামের জয়নাল আবেদীনের এ উদ্যোগ ছড়িয়ে পড়ুক সারা দেশে…
সারা বাংলায়…
—
মোঃ নাজিম উদ্দিন
জানুয়ারি ৭, ২০২৩