তবু কেন মরিচীকায়!
——
জগত জুড়ে অমিলের মিল
মিল পাওয়া যে দায়!
মানুষ হয়ে মানুষেরে চেনা
আসলেই বড় দায়।
এককালে যে সাধু-সুজন
সাধক, সুশীল সাজ,
হঠাৎ খুললে মুখোশখানি
মাথায় পড়ে বাজ!
মুখোশটাতে লুকিয়ে থাকে
কুঠিল বুদ্ধির ছাপ!
অনিয়ম যত আড়ালে রাখে
সরলতার ঝোড়ঝাপ।
ড্রাইভার আজ সাদা শশ্রুর
বেতন পায় বা কত?
দুর্নীতির সে ভাগের টাকা
মিলে কোটি শত!
সাধু সেজে পেশায় মহৎ
কর্তাবাবুর কী নাম!
পদক খুলে দুদক দেখে
ঘুষ-দখলের দুর্নাম!
মিডিয়া তখন সরব সাজে
নীরব ছিল সেকাল!
কুকীর্তির সব হিসাব লিখে
এবার সে-তো নাকাল!
সারাজীবন ভাবলে যারে
আহা! কী সৎ মানুষ!
ক’দিন পরে আসল জানো
ফুটে সুনামের ফানুস!
মানটা তার একারই যায়না
অনুশোচনায় স্বজন;
স্ত্রী-পুত্র আর কন্যাও ভোগে
বুঝবে তা আজ ক’জন?
লোভের ঘোড়ায় চড়ে, সুধী!
ছুটবে কত আর?
পিছু পিছু তারই পরিণতি
ন্যায়ের উপসংহার!
দু’দিন পড়ে নামটা হবে
‘মুর্দা’ কিংবা ‘লাশ’!
তবু কেন উড়ছে জোরে
মায়ার অভিলাষ?
তোমার পরে, কে’বা মালিক?
কারা করবে ভোগ?
তবু কেন শত মরিচীকায়
করছো আত্মনিয়োগ?
কাঁচটা ফেলে হীরার খোঁজে
ছুটুক তোমার রথ,
আসল সুখে বাঁচাই যে হোক
আসল মনোরথ।
—–
মোঃ নাজিম উদ্দিন
২১ সেপ্টেম্বর ২০২০
nazim3852@gmail.com