ইতিহাসের সৃষ্টিরূপে স্রষ্টারূপে বঙ্গবন্ধু
— শাহিদা আকতার জাহান
“কাঁদো বাঙ্গলী কাঁদো, মুক্তিদাতা পিতা মুজিবের জন্য কাঁদো, কাঁদো বঙ্গমাতার জন্য কাঁদো,কঁদো সবার ছোট্ট আদরের রাসেলের জন্য কাঁদো।
বাংলার সোঁদা মাটি,নদী পাহাড় বেষ্টিত এই সবুজ শ্যামল বাংলা। ইস্পাত কঠিন পাথরের মত একটি জাতির সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, বলেছিলেন বাঙ্গালীদেরকে, “চল, তোমরা আমার সাথে, আমি তোমাদের নিয়ে যাব অনেক দূরে, একটি লাল সবুজের পতাকা নিছে। শোষনহীন সমাজ ব্যবস্হায় একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দেব।তোমারা আমাকে সাহসী বাঙ্গালী দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা এনে দেবো।তাই ৭১ এর ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষনা করলেন “এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম “‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম'”। তখন বাংলার লক্ষ লক্ষ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সাড়া দিয়ে জীবনবাজি রেখে বাঙ্গালীদেরকে সংঘবদ্ধ করে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে দুই লক্ষ উনসত্তর হাজার মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বে একটি মানচিত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন বঙ্গবন্ধুর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তায়।বাংলার প্রতিটি মানুষকে দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছেন। জাতীয় নেতৃত্বের দূরদর্শিতা ও জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে সে দিন ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল এ দেশের জনগন। পিতা মুজিবের বিশ্বাস ছিল বাঙ্গলীদের উপর। তাই পাকিস্তানে বন্দি হয়ে ও দিশেহারা হয়নি।বাঙ্গালীরা কোন দিন তাকে মারতেই পারে না। বিশ্বাস করে নিরাপত্তাহীনভাবে থাকতেন ধানমন্ডি ৩২ নন্বর বাড়িতে। বিশাল হ্রদয়ের মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু। দলের নেতা র্কমীদের ও সহকর্মিদের প্রতি ছিল তার গভীর ভালবাসা। তাদের দুঃখ-কষ্ট, ভাল মন্দ এবং আনন্দ বেদনার অংশীদার ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশের সত্তা, জাতির চেতনা, বাঙ্গালীর শক্তি, সাহস, মুক্তির প্রেরণা, দুঃখি মেহনতি মানুষের ঠিকানা। বাঙ্গালী জাতির দুরভাগ্য এই মহান মানুষটিকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে বাঙ্গালী জাতিকে বঙ্গবন্ধুর রক্তের কাছে চিরঋণী করে গেছেন। এই জঘন্য হত্যাকান্ড কারো কাছে কাম্য ছিল না। বছরের আবর্তনে এসেছে বাঙ্গলী জাতির শোকাবহ আগষ্ট মাস। বাঙ্গালীর বর্ষ পঞ্জিকায় প্রতিবছর ফিরে আসবে, “শোকাহত আগষ্ট”, শোকাবহ স্মৃতি অশ্রুসজল বেদনার্ত, ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বাংঙ্গালী জাতি স্বরণ করে, বাংঙ্গালীর স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতিক, বাংঙ্গালীর প্রথম স্বাধীন জাতি, রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্হপতি, কালজয়ী মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি স্বাধীন বাংলার রুপকার, দুঃখি মেহনতি মানুষের নতুন স্বপ্নের নির্মাতা। বাঙ্গালি জাতির মুক্তির জন্য জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত রাজনীতি করেছেন। মানুষের প্রতি ছিল তার গভীর ভালবাসা, মমত্ববোধ। বাংলার দুঃখি মানুষের কষ্টে তিনি ব্যতীত হতেন। স্বপ্ন দেখতেন অগণিত ক্ষুধা ও দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনা করবেন।নিপীড়িত, নির্যাতিত ও শোষিতের কথা চিন্তা করে জীবনের যৌবনের মূল্যবান সময় জেলে কাটিয়েছেন।অনেক কষ্ট, নির্যাতন সয্য করেছেন।বাঙ্গালীর মুক্তির জন্য , শুধু প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের পথ দেখিয়াছেন। বাংলার মানুষ স্বাধীন দেশ পাবে, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্হান, শিক্ষা, চিকিৎসা পাবে। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাবে, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, সবাই একসাথে সমাজে বসাবাস করবেন এই অঙ্গীকার ও প্রত্যাশা পূরণ হতে শুরু করছিল। স্বল্প সময়ে শ্রেষ্ঠ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সংবিধান রচনা করেছেন, শ্রেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পঞ্চবর্ষ পরিকল্পনা তৈরি করেছেন,যার মূল লক্ষ্য শান্তি, মুক্তি, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও নারীর ক্ষমতায়ন। তাই তাকে বাদ দিয়ে কখনো বাংলার প্রকৃত ইতিহাস রচিত হতে পারে না। যখন একটু শান্তি ও স্বস্তি ফিরে এসেছে, ঠিক তখনই ১৯৭৫’র ১৫ আগষ্ট কালো রাতে বাঙ্গালী জাতি হারিয়েছে আবহমান বাংলা ও বাঙ্গালীর আরাধ্য পুরুষ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্হপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাংগালী, জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে। একই সাথে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো আত্মীয়-স্বজনসহ তার পরিবারের সবাইকে। সবার আদরের যে ছোট্ট রাসেল সারাক্ষণ আনন্দে মাতিয়ে রাখতো বঙ্গবন্ধুর বাড়িটি সে ও রক্ষা পেল না। বাঁচতে চেয়েছিল রাসেল এই সুন্দর পৃথিবীতে, কখনো মার কাছে যাবে বলে, কখনো বাবার কাছে যাবে বলে, কখনো ভাই-ভাবীদের কাছে যাবে বলে।বাঁচার জন্য কাজের মেয়ের বুকে ও লুকিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল। কিশের লোভে ঘাতকেরা এতো নিষ্টুর নির্দয় হয়েছিল, পাষন্ডরা কচি বুকটা বুলেটে বুলেটে ঝাঝরা করে দিল।এই ছোট্ট রাসেলের কি দোষ ছিল?একটাই দোষ ছিল সে বঙ্গবন্ধুর সন্তান। এক অকল্পনীয় পৈশাচিক ঘটনা। বাংলার মানুষের জন্য যে নেতার বুক ভরা ছিল ভালবাসা, বাংলার মানুষ,বাংলার আকাশ বাতাস, বাংলার মাটিকে গভীর ভাবে ভালবেসে সিক্ত করেছিলেন, যিনি সব সময় বাংলার দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আজীবন কষ্ট করেছেন,যৌবনের সুন্দর দিনগুলো আন্দোলন সংগ্রাম করে কাটিয়েছেন।এমনকি ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে ও বাঙ্গালীর স্বাধীকারের অাপোষের মাধ্যমে বিসর্জন দেননি। পাকিস্তানিরা শত্রু হয়েও বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারে নাই, বাঙ্গালীর হয়ে ও বাংলার মীর জাফরেরা জাতির জনককে হত্যা করলো। যে পাকিস্তানীরা বার বার চেষ্টা করেছেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসি দিতে চেয়েছিলেন। ৭১ এর ২৬ মার্চ যখন তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা দেন তখন তাকে গেপ্তার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়,তার ফাঁসির হুকুম হলো, কবর খোড়া হলো, এ ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, আমি বাঙ্গলী, আমি মুসলমান, এক বার মরি।তোদের কাছে অনুরোধ তোরা আমার লাশটা আমার বাঙ্গলীর কাছে পৌছে দিবি। সে বাংলার মীরজাফরা বাংলার মাটির বুক ভিজিয়ে দিল বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তে। ঘাতক বেঈমানের চক্রান্তে।
৭৫এর ১৫ই আগষ্টের মতো মমার্ন্তিক হত্যা কোন জাতির জীবনে বেশী ঘটে না। পরিবারের ১৭ সদস্যসহ নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানকে এরূপ ভয়াবহভাবে হত্যার ঘটনা দুনিয়ার ইতিহাসে বিরল। এই হত্যাকান্ড বিশ্বাসঘাতকতার ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার চরম দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধু এই হত্যাকান্ড ছিল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালে বিপ্লবের “প্রতিবিপ্লব” এই প্রতিবিপ্লব যে কোন সময় হতে পারে এখনো বাংলাদেশ প্রতিবিপ্লবের শক্তি বিদ্যমান। যারা এই প্রতিবিপ্লব ঘটিয়ে বাংলার ইতিহাসকে ভিন্ন ভাবে বিকৃত চেষ্টা করেছিল তারা জানেনা ইতিহাস তার নিজস্ব অমোঘ গতিতে সত্যের বাহন হয়ে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়াবে।প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানবে বাংলার মীরজাফরা একটি জাতির স্হপতিকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলো? এই হত্যাকান্ড একটি পরিবারকে হত্যা করেনি ঘাতকরা, অবৈধ দখলদাররা, সামরিক শাসকরা , হত্যা করছে স্বাধীন জাতির আত্মাকে, সাম্প্রদায়িকতার ছুরিতে বিদ্ধ হয় পুরো জাতির আত্মা, রক্তক্ষরণ শুরু হয় প্রতিটি মুক্তিকামী মানুষের। হত্যা করেছে জাতির আদর্শকে,এ মৃত্যু বঙ্গবন্ধুকে খর্ব করেনি। খর্ব করেছে তার স্বাধীন জাতিকে, তার দেশকে।অভিশপ্ত করেছে তার হন্তারক গোষ্ঠীকে। এই হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশে উন্নতি অগ্রগতি হয়নি,জনগণ উন্নয়ন দেখেছন শুধুমাত্র মিডিয়ায়। দুর্নীতি লুটপাট সমস্ত উন্নয়নকে বাধা প্রধান করে।মুক্তিযোদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভুলে গিয়েছে। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি তাদেরকে বার বার অপমান করেছে।মুক্তিযোদ্ধাদের এমন অবস্হা হলেও স্বাধীনতা বিরোধীদেরকে এম পি, মন্ত্রী হয়ে আমাদের ৩০ লক্ষ শহীদদের দুই লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজের পতাকা নিয়ে ঘুরেছে দেশ বিদেশে। ক্ষমতাসীনারা ভুলে গিয়েছে জাতির জনকের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন। নির্বাসিত হয়েছে সুস্হধারা রাজনীতি,অর্থনীতি। তাই আমাদের মাঝে সত্যকারের গনতন্ত্রের বিকাশিত হয়নি। গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, শোষনমূক্ত সমাজ, আইনের শাসন,সর্বপরি জনগণ অর্থনৈতিক মুক্তি পায়নি।
যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থকে বড় করে দেখেনি।ফলে দেশ ও জাতি অন্ধকার থেকে আলোর পথে আসতে পারেনি। ঘুষ দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন ছিল গোটা সমাজ ব্যবস্হা। গণতন্ত্রের সফলতার চেয়ে ব্যর্ততার ছিল দেশ। রাজনীতিতে জম্ন নিয়েছে ক্ষমতা, লোভ, হিংসা, প্রতিহিংসা, সন্ত্রাস বিরোধী দলের র্কমীদের হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন।বঙ্গবন্ধু নাম বাংলার মাটি থেকে চিরতরে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করতে লাগলো। আগষ্টেরর কলঙ্কজনক ঘটনা ছাড়া ও বাংলাদেশের বুকে আরো ৪টি কলন্কজনক ঘটনা ঘটে। ১. মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের ঘটনা। ২. ১৯৭৫ থেকেঅবৈধ ক্ষমতা দখল, সামরিক শাসনের ঘটনা। ৩. সামরিক শাসকদের সংবিধান থেকে মুক্তিযোদ্ধের চেতনার মূল চা নীতি ছেঁটে ফেলে সাম্প্রদায়িকতা আমদানি করে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে শহীদদের অর্জিত লাল সবুজের পতাকা উড়ানো। ৪. ২১ বঙ্গবন্ধু সাহসী, কন্যা সাহসী নেত্রী বাংলাদেশেরর উন্নয়নের রুপকার আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দেরকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলার মতো জর্ঘন্য ঘটনা ঘটায়। একটার চেয়ে একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা। মহান আল্লাহ নেত্রীকে রহমতের হাত দিয়ে বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন।
পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে হত্যার দায় তারা কখনো অস্বীকার করেনি,বরং গর্বের সাথে সদর্পে বলেছে আমি খুনি পারলে অামার বিচার করুন। আইন পাশ করে তাদের বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। এই ইনডেমনিটি অ্যাক্ট ছিল তাদের বেঁছে থাকার রক্ষাকবচ।ঘাতকদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, তারা চিরদিন বিচারের উর্ধ্বে থাকবে। হত্যাকারীদের শুধু আইনের।
নিরাপত্তা দিয়ে সন্তুষ্ট থাকেনি। হত্যার পরবর্তী সরকার তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছেন, দেশে বিদেশে দূতাবাসেও চাকরি দিয়েছে।এ হত্যাকে তারা অপরাধ বিবেচনা করেনি। এই হত্যার কোন বিচারের উদ্যোগ গ্রহন করেনি।উদ্যোগ নিতে হয়েছ দীর্ঘ দিন পর ক্ষমতায় এসে ৯৬ সালে নির্বাচনে জয়ী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয়, সে সরকার অব্যাহতির অধ্যাদেশ রহিত করে বিচারের কাজ শুরু করেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই হত্যাকান্ডের বিচার করেন।তখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে বলেন, নিয়মতান্ত্রিক আদালতে স্বচ্ছ ও প্রকাশ্য বিচারের মাধ্যামে খুনিদের বিচার বাংলার মাঠিতেই হবে। স্বাধীন, মুক্ত,স্বচ্ছ ও প্রকাশ্য বিচার শেষে ১৯৯৮ সালের ৮ নভেন্বর ঢাকার জেলা ও সেশনস জজ গোলাম রসুল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডেরর দায়ে অভিযোগে, অভিযুক্ত ২০ জনের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। আবার দূর্ভাগ্য বাঙ্গলীর।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে চারজন জেলা ও সেশনস আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোটে আপিল করেন। এ রায়ের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যে চারজনের আপিল করেন, কিন্তুু আপিল বিভাগের অধিকাংশ বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগে থাকাকালে এ মামলার শুনানিতে বিব্রতবোধ করেছিলেন, ফলে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিচারপতির অভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার শুনানি করা সম্ভব করা হয়নি। সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদে বিচারের শেষ পরিণতি দেখে যেথে পারেনি। পরবর্তীতে শুক্ষকারচুপির কারণে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি,ক্ষমতায় এসেছে জোট সরকার, সে সরকারের সাথে ছিল কুখ্যাত জামাত।তাই বিচারের কাজ অসমাপ্ত থেকে যায়।জাতির জনকের নিজ হাতে গড়া দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, কঠিন লড়াই,রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম’ করে ঘাতকদের সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ তারই সুযোগ্য কন্যা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড বিচার শুরু করেন। কারণ। এই হত্যাকান্ড বিশ্বাসঘাতকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার একটি চরম দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের রাষ্ট্র্রপতি ছিলেন না তিনি জাতির জনক ও ছিলেন।মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয় তার নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে। তাই ঘাতকরা সে দিন শুধু জাতির জনককে হত্যা করেনি, হত্যা করেছিল উপস্হিত সকল সদস্যকে। ইতিহাসে এমন কালো অধ্যায়ের তুলনা মেলা ভার, এমন কি এই মহান নেতাকে সমাধিস্থ করা হয়েছে চরম অবহেলায়, অবজ্ঞায়। যেনতেন ভাবে দ্রুত মাটিচাপা দিয়ে ঢাকায় ফিনে যাওয়াই ছিল খুনিদের মূল লক্ষ্য। এলাকার বাধার মূখে ৫৭০ কিনে আনা হয়। রেডক্রসের গুদামের থেকে চারটি শাড়ী আনা হয়। পাড় ফেলে দিয়ে দুইটি কাফনের ব্যবস্থা করা হয়। একজন মুসলমান হয়ে কোন ধর্মীয় অনুষ্টান ছাড়াই সমাধিস্থ করার নির্দেশ দেওয়া হয় এই মহান নেতাকে। বাঙালীদেরকে বিশ্বাস করতেন, মন থেকে ভালবাসতেন, তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, কোন বাঙালী তাকে হত্যা করবে না, তাই পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে ধানমন্ডির স্বগৃহে বাস করতেন।তিনি বিশ্বাসের মূল্য দিয়ে গেছেন। এই হত্যার বিবেচনা করলে দেখা যায় ঘাতকরা কি ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলো? নভেম্বর চার নেতার হত্যার বিবেচনা করলে ও সন্দেহ থাকে না তারা কোন ব্যক্তিকে হত্যা করেনি। হত্যার দায় ঘাতকরা কখনো অস্বীকার করেনি বরং গর্বের সাথে স্বীকার করছে।
আজ এই ঘাকতরা বাংলার অগণিত মানুষের কা্ছে কুখ্যাত, মীর জাফর, বৈঈমান ঘৃণিত একটি নাম হিসেবে বাংলার নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেননি, তার স্নৃতিকে ম্লান করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শগুলো আছে “বাতিঘরের মতো তার নিদেশিত পথগুলো আছে থাকবে আমাদের এবং নতুন প্রজন্মদের সামনে। গণতন্ত্র, বাঙ্গালির জাতীয়তাবাদ ধর্মনিরপেক্ষতা সব চেতনাকে ধারণ করে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে একটি আধুনিক প্রগতিশীল রাষ্ট্র গড়ে তুলবো, কারণ ঘাতকের বুলেটে কখনো ভুলে দিতে পারবে না সেই অবিনাশি নাম।পিতা তুমি কর্মবীর নেতা,তুমি মহান, আজ তুমি আমাদের মাঝে নাই, কিন্ত আমাদের বিশ্বাসে, নিঃশ্বাসে, প্রশ্বাসে, প্রতিটি কাজের মাঝে, স্বপ্নের মাঝে, জাতির জনক বেঁচে আছে থাকবে। এই সবুজ বাংলার মাটি, আকাশ, বাতাস, বঙ্গবন্ধুর কথাই বলবে।বঙ্গবন্ধু স্বাধীন জাতির সত্তা । তিনি কোন দিন বাংলার মানুষের কাজ থেকে বিসৃতি হবে না। এই মহান নেতা ফিরে আসবে কখনো জেল থেকে, কখনো ফাঁসির মঞ্চ থেকে।বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার স্বপ্ন তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের শান্তির, মানবতার,নাবী জগরণের অগ্রদূত দেশরত্ন, জননেত্রী “শেখ হাসিনার” নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার করে ফাঁসির রায় কার্যকর করে বাঙালি জাতি অভিসাপমুক্ত হয়েছে।কলন্কমুক্ত হয়েছে।
যুদ্ধোপরাধীদের বিচারের রায় কার্য কর হয়েছে।১৫ আগষ্টের বিচার যদি তখন হতো তাহলে এদেশের এতো বীর সন্তানদের প্রাণ দিতে হতো না। একটি হত্যাকান্ড আর একটি হত্যাকান্ডেরর জন্ম দেয়।পথ প্রশস্ত করে। তৎকালীন সরকার বিচার না করায় হত্যাকারীরা অতি উৎসাহিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যা করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে।আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদেরকে প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রনেড ছুড়ে হত্যা করছে। একজন মানুষ হিসেবে পিতা বঙ্গবন্ধুর ভুল, দুর্বলতা, সমালোচনা থাকতে পারে। সত্যিকার অর্থে একজন দেশপ্রেমিক শাসক,এবং শোষিত মানুষের মুক্তির অগ্রনায়ক হিসেবে স্বাধীনতার অগ্রনায়ক হিসেবে তার ভুল ছিল না। বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রমের কোন ঘাটতি ছিল না।তিনি বার বার বাঙ্গলীর কাছে প্রমাণ করেছে। চরম সত্য কথাটি অকপটে স্বীকার করতে কখনো দ্বিধাবোধ করেনি। বঙ্গবন্ধু সারা জীবনব্যাপী একটি সাধনা করেছেন বাঙালীর মুক্তির জন্য। মনপ্রাণ উজার করে ভালবাসতেন প্রিয় মাতৃভূমিকে, বাঙ্গলী জাতিকে।হ্রদয় দিয়ে উপলব্ধি করতেন বাঙ্গলীর দুঃখ কষ্টে। এই মহান মানুষটি আমাদের বাঙ্গলীর র্গব,অহংকার। এই উদার মনের মানুষটি কখনো এক দল বা এক গোষ্টির হতে পারে না। তিনি বাঙ্গলী জাতির সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ট, মহা কালের মহা নায়ক। বিশ্বের নন্দিত নেতা। জাতির সম্পদ,চিন্তা চেতনা ও ঐক্যের প্রতীক, গণতন্ত্রে বুনিয়াদ। গণতন্ত্র রক্ষার ঐক্যের শক্তি। বিশ্বের নন্দিত নেতারা আবিস্কার করেছেন বঙ্গবন্ধু মহানায়ক, ইতিহাসের সোনালী অধ্যায়। আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। সকল ষড়যন্ত্র, শঙ্কা প্রতিহত করে ঐক্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে হবে। তাহলে বঙ্গবন্ধু রক্তের ঋণ শোধ হবে। বঙ্গবন্ধু বেঁছে থাকবে বাঙ্গালীর ভালবাসা ও লাল সবুজের পতাকার মাঝে। বাংলাদেশকে ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, বৈষম্যের অবশান, সুখী- সমৃদ্ধ জঙ্গিবাদ মুক্ত, বিজয়ী, বাংলাদেশে পরিণিত করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা। ঐতিহাসিক সমুদ্র বিজয়। বাংলাদেশের মূল ভূখন্ডের প্রায় সমপরিমাণ ১ লক্ষ ১১ হাজার বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র বক্ষের উপর সার্বভৌমত্ব অর্জন। ভারতের সাথে অমিমাংসীত সীমানা, ও ছিটমহল বিনিময় সমস্যা নিরসন, ৩ বিঘা করিড়োর সার্বক্ষণিক খুলে দেয়া হয়েছে।দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী ও শিশুদের স্বাস্হ্যসেবার উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক সাউথ – সাউথ পুরস্কার লাভ করেন।
শিশু মৃত্যুর হার কমানোর আসাধারণ সাফল্যের বাংলাদেশ জাতিসংঘ পুরস্কার অর্জন করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় কার্যকর, যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্য কর,হয়েছে বাংলার মাটিতে। ২১ আগষ্ট মর্মান্তিক গ্রেনেড হামলা,১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়, বিডিআর বিদ্রোহের রায় খুব দ্রুত কার্যকর হবে।নিজেদের অর্থায়নে পদ্ম সেতু আজ বাঙ্গলীদের কাছে দৃষমাণ, অনেক ফ্লাইওবার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, অনেকগুলো শেষ হওয়ার পথে। হাতিরঝিল প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে,ঢাকা- চট্টগ্রাম ও ঢাকা – ময়মনসিংহ হাইওয়ে কাজ শেষ হয়েছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে ঘরে ফেরা কর্মসূচী, একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রায়ন প্রকল্প ও আরো অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। বছরের প্রথম দিন ৩৫ কোটি ৪২ লক্ষেরর অধিক বিনামূল্য বই বিতরণ। ১ কোটি ৪০ লক্ষেরর অধিক উপবৃওির টাকা মোবাইল ফোনের মধ্যেমে পাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর মারা।যারা গরীব তাদেরকে সরকার বিনামূল্য মোবাইল ক্রয় করে দিয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। বিদেশে ৯ টি নতুন দূতাবাস খোলায় সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হয়েছে।বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রণীত “শান্তির মডেল” জাতিসংঘে গৃহীত হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবী এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রবিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির সহ আরো অনেক স্কুল, কলেজ মাদ্রাসার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে “ফোর্সেস ” গোল ২০৩০ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার সহজলভ্য করা হয়েছে। ২০০৫০০০ শিক্ষা প্রতিষ্টানে স্বল্পমূল্যে দোয়েল ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে। প্রায় ১৩ হাজারের অধিক ডিজিটাল কমিউনিটি ক্লিনিক স্হাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহীনীকে এিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে আকাশে নিক্ষেপনযোগ্য ক্ষেপনাস্ত্র সংযোজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন,অার তার সাহসী কন্যা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বের নন্দিত নেত্রী, বিশ্বের মানবতার “মা”বাংলার দুঃখি মেহনতি মানুষের অভিভাবক, বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার, নারী ক্ষমতায়নের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এদেশ আমাদের পূর্ব প্রজম্নদের রক্ত দিয়ে কেনা, ইজ্জত দিয়ে কেনা,বঙ্গবন্দুর সপরিবারে জীবন দিয়ে কেনা। এই বাংলা তাই ইতিহাসের সৃষ্টিরুপে, এবং স্রষ্টারুপে বঙ্গবন্দু, বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধুর, আর মুক্তিযুদ্ধ। আজ আমরা যে দিকে তাঁকাই সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে পাই, আর এক মামতাময়ী মার ছবি দেখতে পাই।দেশ এখনো সাম্প্রদায়িকতার ছুরিকাবিদ্ধ, এখনো জাতির অাত্নার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন থাকবেন বাংলার গণমানুষের মাঝে। সে ভালবাসা অবিনশ্বর। বঙ্গবন্ধু অক্ষয়, বাঙ্গালী জাতির কাছে চির জাগরুক, চিরভাস্বর। মাটির তলায় চাপা দিয়ে রাখা যায়নি, তিনি সগৌরবে উঠে এসেছেন কবর থেকে তার প্রিয় বাংলাদেশে, মুক্তির মিছিলে, ফসলের আভায়, সবুজ বাংলার নদীর স্রোতে, কৃষকের হাসিতে, মাঝির ভাটিয়ারি, ভাওয়াইয়া, গাড়িয়ালের গানের সুরে, মুক্তিযুদ্ধেরর চেতনায়। বাংলার বিশাল মানচিত্র জুরে আছে বঙ্গবন্ধুর শরীল। বাংলাদেশ যত সুশিক্ষার শিক্ষাত হবে তথই বঙ্গবন্ধু নতুন প্রজম্নদের কাছে চেতনার আদর্শ হয়ে দাড়াঁয়। তিনি বাংলাদেশের ফাউন্ডিং নেতা। শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের হাতিয়ার।
তিনি আমাদের কাছে অমর, অবিনশ্বর চেতনা।
নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি আজ উদ্ভাসিত স্বমহিমায় আজ বঙ্গবন্ধু সুযোগ্য কন্যর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন অভিজ্ঞায় বায়শাদেম দারিদ্র্য – বৈষম্যের অবসান করে সুখি সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে সোনার বাংলাদেশ।
শাহিদা আকতার জাহান
সদস্য, জেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম
নির্বাহী সদস্য, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ
সিনিয়র সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ।
সভাপতি, চট্টগ্রাম দুঃস্থ কল্যাণ সংস্থা