প্রতিটি দিনের রূপক হিসেবে আজকের বিশ্ব নারী দিবসে..
জীবনের কয়েকজন নারীর উপস্থিতির সংক্ষেপ সমাচারঃ
দাদী – গ্রামের সারল্যের উপমা- দৌহিত্রের প্রতি কী এক অগাধ -অকৃত্রিম ভালবাসার বাঁধন! উচ্চ শিক্ষার্থে শহরে আসার সময় দাদীর উদ্বেগের বিষয়টা অন্য কিছু ছিল না, ছিল আমার তৎকালীন ক্ষুধা সহ্য করতে না পারা এবং চাওয়ামাত্র খাওয়া পাওয়ার অভ্যাসপূরণ(!) নিয়ে শঙ্কা!
মা – কারো সাথে কোনরূপ তুলনা-পাল্লায় যার নাম আসার নয়। জীবনে অপ্রাপ্তিকে সাথে নিয়ে আনন্দকে অশ্রুদিয়ে বরণ করার শিক্ষক মা-ই। নিজের যা আছে বিসর্জন দিয়ে আমাদের জন্য নিরবে খাটুনির পরও কোনরূপ ‘নিজের’ চাহিদা না থাকার নাম, মা।
আমার সহধর্মিণী, জীবনসঙ্গী – যার প্রেমের প্রকাশটা ভিন্ন! দাম্পত্যে যত কলহ আমাদের, তার অধিকাংশই আমার স্বাস্থ্য-নিরাপত্তাগত। চলতি ঝগড়াটাও এরকম বিষয়েই- আমার দুপুরে বাসা থেকে খাবার নিয়ে যাওয়া কিংবা আমার বাইরে খাবারপ্রীতি! তার খেয়াল- মাত্রাধিক্যের ফলে নিজে নিজে শরীরটার দিকে খেয়াল দেই না আগের মত! বিয়ের পর তার প্রেরণায় কিছু পড়ালেখা এখনো চালিয়ে যাই, সাহস পাই।
আমার একমাত্র মেয়ে, আমার হৃদয়স্পন্দন, প্রেম মহীরুহের নব পল্লব! যার হাসিটা নিজের অর্জিত সাফল্যের মত দোলা দেয় প্রাপ্তিতে। সেদিন বাসায় আমি একা জেনে নানার বাড়ি থেকে তার প্রশ্ন “বাবা ক্ষুধা লাগলে কোথায় খাবে? কে রান্না করে দিবে?” এহেন প্রশ্ন জেনে নিজের সব অপ্রাপ্তি ভুলে অনেকদিন বাঁচতে চাইবে মন!
এ শেষ না হওয়া গল্পটা আমাদের সকলের, হয়ত সামান্য ভিন্ন!
প্রত্যেক পুরুষের বাঁধ-বাঁধাহীন জীবনে শৃঙ্খলা-মূল্যবোধ বা দায়িত্ববোধের স্থল, প্রেরণার ক্ষেত্র বা reminder তার
দাদী-মাতা-ফুফু-খালা-স্ত্রী-বোন কন্যা’রাই….
সকলকে শ্রদ্ধা।
—
মোঃ নাজিম উদ্দিন
nazim3852@gmail.com
৮ মার্চ।।