শ্রেষ্ঠ নবীর আগমনে
ছিল যখন আঁধার জাহান
মিথ্যা-অন্যায় যত,
আরব তথা সারা ভূবন
পাপকার্যে রত।
মানবের সততা বিরল
লাঞ্চিত ছিল নারী,
মদ-জুয়ায় পূর্ণ ছিল
হাট-বাজার-বাড়ি।
জীবন্ত কন্যা পুঁতে দিত
ঘৃণ্য কিছু পিতা,
জ্ঞানের আলো খুব কদাচিৎ
মানবতার কথা বৃথা।
সেই আঁধারের জ্যোতি হয়ে
এলেন আলোর নিশান,
সেই আলোতে জাগলো ভূবন
জাগলো সারা জাহান।
মক্কার সেই কুরাইশ-হাশিম
যার ছোঁয়াতে গৌরব,
মুহাম্মদে এলো যেই সুর
এলো নবীর সৌরভ।
সত্য, সুন্দর সাহস দিয়ে
জাগলো মানবতা,
নারী পেল অধিকার তার
পেল মান, সমতা।
‘আল-আমিন’ বালক যদিও
করলো আরব জয়,
এক মাবুদের আহ্বানে তবে
পেলো ক্ষোভ, ভয়।
তৌহিদের বাণী নিয়ে গেলেন
আরবের দ্বারে দ্বারে,
আযান দিলো ইসলাম রবির
আঘাতেও বারে বারে।
যুদ্ধও হলো, ওয়াজও হলো
কঠিন লাহাব-জাহেলে,
পাথর গললেও হলোনা নরম
আহবান যে বিফলে।
নিজ-ভূমি ছেড়ে মদিনাতে
থেমে কভু নেই দাওয়াত,
দিক-বিদিক জয়ে সে মশাল
জিতলো ইসলাম সওগাত।
এক জীবন আর এক হায়াতে
সাজালেন ইসলাম বাগান,
আদর্শ আর বোধের প্রভায়
নবুয়তেরই জয়গান।
কিভাবে হবে পরিবার মোদের
কেমনে চলবে দেশ,
শিখালেন তিনি সম-আদর্শে
অপরিসীম অশেষ।
খোদার এক রহস্য সৃজন
এক প্রেমেরই বাঁধন,
জিতে সেজন, নবীরে করে
সবার চেয়ে আপন।
প্রেমে যেজন বিলায় নবীতে
রুমি-সাদি হয় দামী,
ফরিদউদ্দিন আত্তার আর
আব্দুর রহমান জামী।
অনুপম রূপে, শত শতদলে
আদর্শের রংধনুর মত,
রবের ইচ্ছায় শত মোজেজায়
ইসলাম যে শাশ্বত।
ইতিহাসে তাই নেয়ামত যেন
মাহে রবিউল আউয়াল,
দরুদ-সালামে মিলাদ-সীরাতে
গায় প্রেমিক কাউয়াল।
———
মোঃ নাজিম উদ্দিন