যৌতুক নিয়ে কৌতুক নয়
যৌতুক নিয়ে কৌতুক নয়
নয় খোঁটা দেয়া কথা,
মেয়ের স্বজনই বুঝে কেবল
কতো গভীর এ ব্যথা!
‘গরু দিছে, নাকি ছাগল দিছে?’
কোরবানি ঈদে জিজ্ঞাসা,
প্রতিবেশি হয়ে আপনিই করেন
আত্মীয়তাটার জিঘাংসা।
কেন প্রশ্ন বেয়াই বাড়ি নিয়ে
দিলো কি কি ইফতারি?
কয়টা কাঁঠাল, কয়টা তরমুজ
মধুভাত কত হাড়ি?
তালপিঠা আর ভাঁপাপিঠা কতো?
কয়হাড়ি খেঁজুর রস?
কয়কেজি আম? দুরুস কয়টা?
কয়টা দিলো আনারস?
জিজ্ঞাসে তারা, ভাবেননা যারা
মেয়ের বাবার কী কান্না!
এসব জিজ্ঞাসায় কষ্ট বেড়ে যায়
সম্পর্কে বাড়ে ঘেন্না।
কষ্ট মেয়েরও, কষ্টে বাবা-মা
কষ্টে অভাবী যত স্বজন,
যৌতুক নিয়ে তামাশায় কাড়ে
কত অবলার জীবন!
নিদারুন কষ্ট কন্যাদায়গ্রস্থের
কী দোষ কন্যাপক্ষের?
কেন এ প্রথা, বাড়ায় শুধু ব্যথা
কান্নাভরা স্বজনচক্ষের।
যৌতুক হোক ঘৃণার সমার্থক
যৌতুক হোক লজ্জার,
যৌতুক নিয়ে আর কৌতুক নয়
শাস্তির হোক জেল শয্যার।
—
জুলাই ৩, ২০২২