View : 5
 

মির্জা গালিব কথন:..

—–
গালিব আর উর্দু কাব্য- যেন এক উচ্চতায় বাঁধা। মূলত, উর্দু কাব্য বাইরের প্রকৃতির চেয়ে মানুষের মনোজগতের প্রকৃতির দিকেই বেশি মনোযোগী। আর দীর্ঘ দিনের শাসস শোষণ, বঞ্চনা, ইত্যাদির বেদনা বেশ পরিষ্কারভাবেই উঠে এসেছে গালিবের কথায়। মির্জা গালিব সেই বেদনার শ্রেষ্ঠ রূপকার। মাত্র ২৩৪টি গীতিকবিতা আছে তাঁর চলতি কাব্য সঙ্কলনে। তাতেই তিনি উর্দু কাব্যের অবিসংবাদিত নক্ষত্র ।

——
গালিবের যেসব কথন আমার কাছে সেরাদের তালিকায়, তার কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো:

.(১)
আমি একবারই দুঃসাহস দেখাবো , যখন লোকেরা হেঁটে চলবে আর আমি (মারা যাবার পরে) লোকেদের কাঁধে চাপবো।

(২)
কিছু এমন ভাবে আমার জীবনকে সহজ করে নিয়েছি ,
কারো কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি , আবার কাউকে ক্ষমা করে দিয়েছি।

(৩)
সব সম্পর্ক ছিন্ন করো না, বন্ধু;
আর যদি কিচ্ছু না থাকে
তো শত্রুতাই থাক।

(৪)
জীবন বড়ই বিচিত্র : সন্ধ্যা কাটেনা অথচ দিব্যি বছর কেটে যাচ্ছে!

(৫)
বেশী নুয়ে গেলে পৃথিবী পিঠকে পা’দানি বানিয়ে ফ‍েলে।

(৬)
সন্ধ্যার অন্ধকার কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা সেই পাখিকে জিজ্ঞেস করো, যার কোনো ঘর নেই।

(৭)
হাতের তালুর রেখায়
ভাগ্য দেখতে যেও না গালিব
ভাগ্য তাদেরও আছে
যাদের হাত নেই।

গালিব পরিচিতি:
মির্জা আসাদুল্লাহ বেগ, ডাক নাম গালিব (গালিব অর্থ সর্বোচ্চ) এবং (পূর্বের ডাক নাম) আসাদ অর্থ সিংহ.
জন্ম: ডিসেম্বর ২৭, ১৭৯৭
মৃত্যু: ফেব্রুয়ারি ১৫, ১৮৬৯

ভারতবর্ষে মোঘল-সম্রাজ্যের শেষ ও ব্রিটিশ শাসনের শুরুর দিকের একজন উর্দু এবং ফার্সি ভাষার কবি । সাহিত্যে তার অনন্য অবদানের জন্য তাকে দাবির-উল-মালিক ও নাজিম-উদ-দৌলা উপাধি দেওয়া হয়।

—–
সংকলনে

মো: নাজিম উদ্দিন

২৭ ডিসেম্বর ২০২৪