বর্ষা সেকাল একাল
বর্ষা এলে থাকতো মোদের
বান-ডাকা এক দুপুর,
মনে পড়ে যায় বাল্যবেলায়
স্মৃতির টাপুরটুপুর।
অভাব ছিলো, প্লাবন ছিলো
মন ছিলো না হতাশ,
ঝুম ঝুম গাঁয়ের বাদল দিনে
জলে পড়েছে আকাশ।
ছাতা নয়, জুইরও নয়
ভিজতাম শুধু তখন,
নৌকা এলে বৈঠা নিয়ে
বানে হতো ভ্রমণ।
জাল-চাঁই আর নেটের জালে
মাছ ধরার কী সাধ!
পুকুর ছেড়ে রুই বা কাতলা
ভাসতো বানে অবাধ!
কম পানিতে ফুটবল হতো
বেশি পানিতে সাঁতার,
শুনেনা বালক, বারণ শত
বাড়ির কোন কর্তার!
নৌকা না এলেও তাদের
চলতো কলার ভেলা,
টিনের ছাদে বৃষ্টি-ছন্দে
কাটতো অলস বেলা।
এক ছাতাতে দু’জনে ভিজে
যেতাম কভু বাজার,
রাস্তা ডুবে ছোট-নদী যেনো
আনন্দ ছিলো হাজার!
কলাপাতা দিয়ে ছাতা দেখেছো?
নৌকা ডুকেছে উঠানে?
তোমার বাড়ির কোন চাল কি
ভেসেছে বানের টানে?
কিশোরের যদিও মজার দিবস
মা-বাবা অভাবী যখন!
কেমনে দিবে ক্ষুধাতুরটারে
ভাত যে চাইবে তখন!
বাজার নাই, শুন্য সে উনুনে
কেটেছে কি কভু রাত?
কখনো ভেবেছো বানের কষ্ট
খোলা আকাশের ছাদ?
গাঁয়ের স্মৃতি নেই বা কাদের?
ভুলি কেমন করে?
তবুও কেন ভাবিনা আজিকে
বানভাসীদের তরে?
আজো বরষায় ভাসে শতঘর
কালোমেঘে ভয় আজ,
মানুষ বাঁধুক ভাঙ্গা সে ঘর
বাঁচাবে মানব জাহাজ।
সুন্দর রূপের বরষাটা হোক
সবার রঙিন দিন,
কিভাবে হাসিবে, তোমার ভ্রাতার
মন যে আজ মলিন?
——-
(মোঃ নাজিম উদ্দিন
২২-০৭-২০২০)