প্রকাশ্যে অপ্রকাশিত


মানুষের মনে যত কথা, যত ভাবনা অব্যক্ত থাকে, তা যদি কোন সময়ে প্রকাশিত হয়, সহস্র গ্রন্থে, অযুত উপন্যাসেও তা সংকুলান হবে না।

মানুষ তার মনে যত দুঃখ পুষে রাখে, তা যদি কখনো প্রকাশ পায়, তা যদি কলমের কালিতে প্রকাশ পায়, স্বজন, পরিজনের কাছ থেকে যত বঞ্চনা, শঠতা, প্রতারণা, বিশ্বাসঘাতকতা ও অকৃতজ্ঞতার রূপ প্রকাশ পায়, তার পূর্ণ বর্ণনা যদি কালি ও কলমে স্থান পায়, তাহলে অযুত নিযুত ট্রাজেডিতেও বা বিয়োগাত্মক উপন্যাসেও সংকুলন হবেনা।

মানুষের আনন্দের বিবরণ, প্রাপ্তির পরিতৃপ্তি, পরোপকারের স্বস্তি, দায়িত্বশীলতার আত্ম স্বীকৃতি ইত্যাদি সবই যদি শব্দে পুুরোপুরি প্রকাশিত হয়, তাহলে অগণিত পুস্তকে সমৃদ্ধ হতো আমাদের বইঘর।

আবার,
মানুষ তার সব রাগ, ক্ষোভ, প্রতিবাদ, প্রতিশোধপরায়ণতা যদি শব্দ, ধ্বনি বা বাক্যে লিখিতভাবে প্রকাশ করে, তাহলে অপরের সম্পর্কে খুব কমসংখ্যক শুভবাণীই অবশিষ্ট থাকবে।

আর এ সকল অসংকোচ, অব্যক্ত শব্দাঞ্জলী মানুষের মনেই পুঞ্জীভূত ও বলপ্রয়োগপূর্বক অনুক্ত থাকে বিধায় মানুষ পরিপূর্ণ স্বতঃস্ফূর্ততার দ্বারপ্রান্তে পৌছাতে পারেনা।


ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
চট্টগ্রাম

(বাপ-ঝি’র ছবিটি ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের এক বিকেলের, চট্টগ্রাম ভাটিয়ারি গল্ফ এন্ড কান্টি ক্লাবে, চট্টগ্রাম কলেজ ইংলিশ এলামনাই এসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্টানে)

লেখাটি লিখেছেন