Post View : 3
 

অনুধাবনমাত্র

বলা হয়, লাইফ স্টার্টস্ এট ফরটি। জীবনের এ পর্যায়ে এসে বুঝলাম, শৈশব কৈশোরে শেখা কিছু বিষয়কে চিরন্তন সত্য, প্রবাদতুল্য মনে হলেও যুগে যুগে সেসবের আবেদন নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে বা প্রাসঙ্গিকতা হারায়।

এককালে বলা হতো (বা এখনো বলা হয়)
১) “অর্থই অনর্থের মূল”- কিন্তু আসলে কি তা সঠিক? অর্থহীন মানুষের মূল্য কোথায়?
যেখানে অর্থ নেই, সেখানে কোন মূল্য নেই৷ কোনরকমে অর্থ উপার্জন করতে পারলেই সে যেন সবই কিনে ফেলতে পারে!
মূলত, অর্থহীনতাই অনর্থের মূল!

২) ”উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে, সে-ই মধ্যম, যে চলে তফাতে”-
কিন্তু বাস্তবতা হলো, নিশ্চিন্তে অধমের সাথে চলা সবক্ষেত্রে উচিত নয়। তফাতে চলতে না পারলে বা অতি সহজে কাউকে সময় দিলে সেক্ষেত্রে পরিণাম তথৈবচ! সহজে আপনাকে নামিয়ে ফেলবে নিম্নস্তরে: অতি সহজে আপনার ব্যক্তিত্বকে ধুলোয় মিশিয়ে ফেলতে যথেষ্ঠ। যে আপনার মূল্য বুঝবেনা, সে আপনাকে কতটুকু মূল্যায়ন করবে?
তাই, সমীকরণটা হোক,
উত্তম নিশ্চিন্তে চলে উত্তমের সাথে..
মধ্যম ও অধম চলুক সমগোত্রের সাথেই..

৩) “ব্যবহারে বংশের পরিচয়”- এ যুগে কথাটি কতটুকু সত্য?
বিরল ক্ষেত্রে এটা সত্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা যাদের অর্থ বিত্ত বেশি তাদেরই ভালো বংশের উত্তরাধিকারী বলি আর তাদের ‘ব্যবহার’ তাদের বংশের পরিচয় বহন করে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেতিবাচকভাবে: যেমন,
অতি ভালো বংশের লোক বা ধনী লোকের ব্যবহার খুব কম সময়েই ‘ভালো’ হয়। তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, দম্ভ, অহংকার, গরীবদের প্রতি তাচ্ছিল্য, আভিজাত্য প্রদর্শনী ইত্যাদির পরিচয় পাওয়া যায় নির্লজ্জভাবে।
(অবশ্য হাজারে বা লাখে এক দুজন প্রকৃত ভালো মানুষের প্রকৃত ভালো ব্যবহার যে পাওয়া যায়না, তা নয়)

এ কথাগুলো, এ দ্বন্দ্বগুলো বিবেকে দংশন করতে বাধ্য, যদি চিন্তা করা হয়।


নাজিম
মার্চ ৬, ২০২৩