কখনো বলবোনা বিদায়
আজ থেকে এক সহস্র বছর পরে
জানিনা অধির,
জানি, আমাদের কারো কথা মনে থাকবেনা এ ধরিত্রির,
সে শুভ্র সূর্যোদয় দেখার জন্য ছেড়েছি আরাম বিছানা;
যে রক্তিম সূর্যাস্ত চোখের পাতায় স্পর্শিত হবার বাসনায়
ছুটেছি সমুদ্রতটে, পাহাড়চূড়ায় বা বৃক্ষপটেও,
সে সূর্য মনে রাখবেনা, একদিন যে আমিও ছিলাম।
আজ থেকে শতবর্ষ পরে, জানিনা কে মনে রাখবে আমায়,
সময়ের বিস্মৃত স্রোতে, ভাটির টানের মতোই
খড়কুটোর মতো ভেসে যাবে আমার যত পদচিহ্ন;
নিবে যাবে নির্মমভাবে, যত ক্ষণিকের সাঁজবাতি।
তবে ইচ্ছের সুতো দিয়ে, সময়ের মুক্তো নিয়ে
প্রতি মিনিটে গেঁথে চলেছি, বহুকাল, বহুযুগের যোগসূত্র;
হয়তো তা কর্ম দিয়ে, হয়তো কন্যায় বা প্রজন্মে..
অবাধ্য সময়ের দু’কূলে সেতুর পিলারে বাঁধার
অনেকটা সংশপ্তক আমার এ প্রয়াস, বেশ দুর্বলও..
তবুও খোলা আকাশের বিশালতা, সমুদ্রের অসীমতায়,
মহাকালের মহাযজ্ঞে কতটা দুঃসাহস করি নিয়ত
বেঁচে থাকার আকাঙ্খা করে সৃজনশীল আমায়
যদিও বহমান কাল কখনো কাঁদায়, কিবা হাসায়…
বেঁচে থাকবো বহুকাল, নিজেতে বা কন্যাতে,
সময়ের কাছে কখনো বা, বলবোনা বিদায়।
—
মোঃ নাজিম উদ্দিন
২৯ মে, ২০২