মানুষ এমনই
প্রসঙ্গ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
মানুষ এমনই!.
আপনি হাসি আনন্দ সুখের কথা লিখলে তারা ভাববে, ‘এরকম আরামে থাকলে আমরাও লিখতে পারি!’ কিংবা সাক্ষাতে, ‘তোমার কী ভাই, সুখী মানুষ!’
একটু দুঃখ কষ্ট তিক্ততা, বিরহের কথা লিখলে,
‘কি ভাই, কোন সমস্যা?’
ভাই, আপনি এসব কি লিখেন,এগুলোতে আমরা লিখবো!’
প্রেমের কাব্য বা কথা লিখলে, ‘বুড়ো বয়সে ভীমরতি’ বা ‘তুমি ভাই রোমান্টিক মানুষ’!
বা ‘কাক ও কবির সংখ্যা নাকি সমান; নাকি কবির সংখ্যা বেশি?’
অথবা,
‘কেমনে পারে ভাই, সারাদিন ফেসবুকে থাকতে!’
কাজকর্ম কর্ম তো, এসব লেখার সময় পায়’! কিংবা, ‘এসব পড়ার সময় কই?’
এবার একটু ধর্মের কথা লিখলে,
‘আজকাল সবকিছু ফেসবুকে সব কিছু চলে এসেছে, ধর্মও বাদ নাই!’ বা,
‘ওয়া অুজুর, দোয়া হাইর গইরজ্জু!’
বা, ‘কেয়ামত খুব কাছেই মনে হয়, সব লোকদেখানো! ‘.
নীতি কথা নিযে লিখলে,
‘এসব নীতিকথা নিজে মানে?’
‘নীতিকথা লেখা খুব সহজ!’।
আর রাজনৈতিক একচোখা দৃষ্টি তো আছেই!
‘কিছু লিখলেই যেন রাজনৈতিক লেবাস দানে ওস্তাদ সব পাঠক!..’
তবে একশ্রেণির মানুষ, (সব ক্ষেত্রে না) খুব নিরাপদ অবস্থানে থাকে: ফেসবুকে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকবে: কোন ভূমিকা (লাইক, ডিসলাইক, কমেন্ট) নেই, ছবি শেয়ার করা ছাড়া নিজের লেখা মৌলিক কোন লেখা নেই; লিংক বা পাবলিক পোস্ট শেয়ার করা ছাড়া কোন কাজ নেই ইত্যাদিতে সিদ্ধহস্ত!
এরা সব বিতর্কের উর্ধ্বে: সব Subjectivity ও Objectivity এর উর্ধ্বে…..
এতসব এড়িয়ে যদি সামনের দিকে চলতে পারেন, কিংবা কবি নজরুলের মতো বলতে পারেন,
‘আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা,
করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা’ বা
তাহলে, ফেসবুকসহ ক্রমবর্ধিঞ্চু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার প্রভূত উন্নতির আশঙ্কা, তুক্কু, সম্ভাবনা রয়েছে!
(কথাগুলোর আংশিক বা সম্পূর্ণ অংশ কারো সাথে মিলে গেলে নিজ দায়িত্বে মিলিয়ে নিবেন..!!)
——
নাজিম
৩ মে, ২০২৩