মানুষের জন্য ভাবা হোক
মোড়ে মোড়ে হাসপাতাল হোক বা
প্রতি হাসপাতালে আইসিইই বাড়ুক,
খুবই দ্রুত সময়ে,
আমি তা বলছিনা।
আমি বলছি, মানুষের চিকিৎসার কথা
মানুষের স্বাস্থ্যসেবার পরিধির কথা
পূর্ণভাবে ভাবা হোক।
আমি বলছিনা, লকডাউন তুলে দিতেই হবে,
জীবন ধারা পূর্বেকার ন্যায় চলমান থাকবে:
বরং আমি বলছি, মানুষের বেঁচে থাকার
জীবিকার কথা, অন্ন, বস্ত্র, আবাসের কথা
মানুষের অবলম্বনের কথা
পূর্ণভাবে ভাবা হোক।
আমি বলছিনা, গরীব রিক্সাওয়ালা বা দিনমজুরদের
ভর্তুকি দিয়, ত্রাণ দিয়ে রক্ষা করুক,
বরং আমি বলছি, তাদের অন্তত
স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ নিশ্চিত হোক; নিশ্চয় হোক।
আমি বলছিনা, পিতৃ বা মাতৃহীন
পথের ধারের পথশিশু বা অনাথজন
কিংবা শহরের যত শিশুশ্রমিক
রাতারাতিই অভিভাবক পেয়ে যাক;
আমি বলছি, ছিন্নমূল শিশুর কথা
নিজের সন্তানের চেহেরার সাথে
তার সাদৃশ্যের কথা, মিলের কথা
একটিবারের জন্য ভাবা হোক।
নিজে অভাবে থেকে অন্যকে দেয়ার
নিজে না খেয়ে অন্যকে খাওয়ানোর
নিজে কষ্টে থেকে অন্যের দুঃখ লাগব
এসবের কথা আমি বলছিনা,
তবে আমার আবেদন, যতটুকু সম্ভব
যতটুকুই বা সম্ভব, তার কিছুটা দিয়ে
মানুষ পাশের জনের পাশে দাড়াক;
ভালোবাসুক তার যৎসামান্য দিয়ে
কাছে আনুক তার মানবতা দিয়ে,
প্রেরণা কিংবা অন্তত সাহস দিয়ে।
আমি বলছিনা, পরের কারণে সব স্বার্থ,
পরের তরে সব বিসর্জন করতেই হবে
আমার আহবান, অপচয়ের কিছুটা
উদ্বৃত্তের খানিকটা, জমার অংশকিছু
অপরের হাতে পৌঁছুক, সে হাসুক।
মানুষ অপর মানুষের জন্য মরুক
আমি তা কখনোই বলছিনা,
আমি চাই, মানুষ অন্ততপক্ষে
মানুষের কথা ভাবুক; মানুষের জন্য ভাবুক,
মানুষের তরে ভাবুক।
—-
মোঃ নাজিম উদ্দিন