মনোসংযোগ
মানুষ সাধারণত মৌলিক প্রয়োজনীয় উপাদানের সংকট মানিয়া লইতে পারে, কিন্তু মানবিক উপাদানের সংকট মানিয়া লইতে পারেনা।
মানুষ তার অন্ন-বস্ত্রের অভাবের কথা বক্ষে পাথর চাপা দিয়া লুকাইতে পারে, প্রায়শই কাহাকেও না বলিয়াও নিরব অশ্রু দিয়া বরণ করিতে পারে, তথাপি অন্যের দেয়া দুঃখের কথা সহজে ভুলিতে পারেনা।
মানুষ অপরজনের দেয়া শারিরীক আঘাতের কথা নিরবে হজম করিতে পারে, কিংবা কাহাকেও না বলিয়া সবর দিতে পারে, কিন্তু অপরের দেয়া মানসিক যন্ত্রণা, মনোকষ্টের কথা সহজে ভুলিতে পারেনা!
দূরের বা দুঃসম্পর্কের মানুষের দেয়া কষ্ট সে ভুলিয়া যাইতে পারে, মানিয়াও লইতে পারে, কিন্তু নিকটজনের দেয়া কষ্ট সে কি ভুলিতে পারে?
মন মনন অদৃশ্যঃ শরীর, আবরণ দৃশ্যমান: এতদ্ সত্ত্বেও মনের উপর প্রভাব অপেক্ষাকৃৃত অধিক দীর্ঘস্থায়ী, অতি ভয়ঙ্করও।।।।
কাহাকেও শারিরীক কষ্ট না দিয়া মানসিক যন্ত্রণা যদি ভাবিয়া থাকেন, কি বা আর করেছি: কিছুই তো করিনাই : রক্ত না পড়া অবধি আইনের দৃষ্টিতেও তো কোন অপরাধ নহে, এমন ভাবনা অনেক ভয়ানক, ধ্বংসাত্মকও…
মন শরীরের চেয়েও ভয়াবহ প্রভাববিস্তারকারী, যেমনটি অদৃশ্য দৃশ্যমানের চেয়েও…..
—
নভেম্বর ২১, ২০২৩