বৃষ্টির জন্য নিষেধবচন
আহবান হতো একদা
‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে, ধান দিবো মেপে..’
শতবর্ষ আগেও কবিগুরু লিখেন
বর্ষা নিয়ে, বর্ষার রূপ নিয়ে,
মাঝে একক্ষণে মেঘে গর্জনদৃশ্যে
হতচকিতও হতেন প্রায়, বলতেন-
‘ওগো আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে’
এটা সত্য, যে কয়টি ঋতু বাড়ায় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের শোভা
আষাঢ় শ্রাবণের বর্ষা তাদের রাণী।
তবে এ নগরে বৃষ্টি শুধু একবারই
শুধু প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমক্ষণেই
স্বস্তির বৃষ্টিপূর্ব বাতাসের জন্যেই
আহবান পায়, শত কামনায়।
ঘনঘোর বরষা এ নগরীর শত্রু
সামান্য বৃষ্টিতেই যেখানে হাঁটুপানি
আরেকটু বর্ষণেই যখন প্লাবন
একটানা বারিষায় যখন নগর দুর্ভোগ
সেখানে বৃষ্টিকে আর আহবান করিনা।
সেখানে বৃষ্টি হোক শুধু ঘোর আঁধারে
শুধু নগরবাসী নিরাপদে ঘরে পৌঁছার পর
জীবনের সব কোলাহল থেমে গেলেই
–
নচেৎ এ বৃষ্টি অভিশাপ হয় অধিকাংশ নগরবাসীর
গাড়ির যাত্রী হয় দুর্ভাগা স্বাক্ষী
ড্রেনে ভেসে যায় পথচারী যত-
কয়েকদিনেও পাওয়া যায়না দেহখানি –
এ নিষ্টুর জলাবদ্ধতা, এ অবহেলিত নগরে
পয়নিষ্কাশনের নিয়ত অব্যবস্থাপনায়
বৃষ্টি শুধু স্বপ্নেই থাক-
পাহাড়, সমুদ্র, নদেই হোক বসবাস।
নির্জন অরণ্যে হোক বর্ষণ সব….
–
চট্টগ্রাম
২ আষাঢ়, ১৪২৯ বাংলা
১৬ জুন ২০২২