কিছু মানুষের দৌড়ঝাঁপ, অধৈর্য ছুটোছুটি, স্বার্থপর আচরণ নগরীর কিছু বেপরোয়া, প্রতিহিংসাপরায়ণ মোটর গাড়ি চালকের মতো!
এরা চায়, অন্যেজন কখনো যেন তার সামনে এগিয়ে না যায়, অর্থাৎ, যে কোন মূল্যে নিজেকে আগে যেতেই হবে!
আর যদি নিজে অন্যকে টপকে বা ওভারটেক করে যেতে না-ও পারে, তখন হিংসার অনলে এমনভাবে গাত্রদাহ হয়, যেন সহ্যসীমা অতিক্রমই করে! তার সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ করে তার গাড়ির সামনের অংশবিশেষ সম্মুখে এগিয়ে দিয়ে, যাতে সে যেতে না পারলে অপরজনও যেতে না পারে!
কী বিচিত্র! এ কেমন স্বার্থপরতা, কেমন হিংসা!
আর এক শ্রেণির চালক (সেল্ফ ড্রাইভার বা হায়ার্ড ড্রাইভার যে-ই হোক সামনের গাড়ি একটু ধীরে চললেই হর্ণ দিতে দিতে তার বিরক্তিরর চরম সীমায় পৌঁছাবে! আর নিজে ধীরে চলার সময় পেছন থেকে কেউ হর্ণ দিলে প্রত্তুত্তরে এমনভাবে পেছনে ফেরে তাকায়, যরন হর্ণ দিয়ে সেজন অমার্জনীয় অপরাধ করে ফেলেছে!
আর কেউ কেউ তো, সমগ্র বাংলার মাটিকে নিজের পিতৃকুলের সম্পদ ভাবিয়া সড়কে এমনভাবে পার্কিং করে যেন ‘তিনার’ আসার আগে কেউ যেতে না পারে!
আর তার ফলে যানজট? কি যে বলেন মশাই? সে তো অন্যের কথা তোয়াক্কাই করে না।
এরূপ স্বার্থেে যাঁতাকলে মানবতা, পরার্থপরতা পিষ্ট হতে থাকলে এ ধরণি ঢাকার গুলিস্তান-ফার্মগেট বা চট্টগ্রামের ইপিজেড-দেওয়ানহাট মোড়ের স্থবির যানজটের মতো নাকাল, বসবাসঅযোগ্য হয়ে যেতে পারে বৈকি!
#বিচিত্র#মানুষ
—
মোঃ নাজিম উদ্দিন