ফোরাত তীরের সেই যুবক
ফোরাত তীরের সেই যুবক
অকুতোভয় বীর,
অসত্যেরে মানেননি কখনো
নত করেননি শির।
ওবায়দুল্লাহ জিয়াদ চেয়েছিলো
আনুগত্য, আত্মসমর্পণ,
ইমাম হোসাইন মানেননি সেকথা
দৃঢ়তর ছিলো সে পণ।
যদিও ইমাম চেয়েছেন শুধু খেলাফতের পুনরুদ্ধার,
শটতার ফাঁদে, নিঠুর জিয়াদ
রাখেনি চুক্তির দ্বার।
শহীদ করলেন হোসাইনকে তারা
তবুও থামেনি আঘাত,
৩৩ বর্শায় বিঁধারর পরও করলো
৩৪ তরবারির অপঘাত।
ভোলা কী যায় ন্যায়ের ইমামকে?
আরো ৭২জন শহীদ,
এ শাহাদাত উঁচিয়ে যে ধরলো
ইসলাম দ্বীন ও তৌহিদ।
দ্বিখন্ডিত সে হোসাইনি মস্তক
নিয়েছে পাষাণ জিয়াদ,
কারবালা বুকে সমাহিত মস্তক
সত্য-মিথ্যার জিহাদ।
পানির জ্বালা আর ক্ষুধার কষ্টে
ছিলো মু’মিন সীমাহীন,
নিঠুর হাতে বাদ পড়েনি শিশুও
জয়নাল আবেদিন।
৬১ হিজরীর ১০ মহররম
রক্তে কালো দিন,
ইয়াজিদ-জিয়াদের হানাদার
রুখতে চেয়েছে দ্বীন।
ইসলাম সে তো সত্য সতত
হবেনা কভু বিলীন,
ইয়াজিদ মরেছে, মরেছে মিথ্যা
সত্য, সে অমলিন।
জান্নাতের যু্বককূল সরদার
হযরত ইমাম হোসাইন,
প্রিয় নবীর কলিজার টুকরো
অবিস্মরণীয় হাসনাইন।
স্মরণ, সালাম, শ্রদ্ধা অবিরত
হাসান-হোসাইনের তরে,
রবের কাছে পেলেন সুসংবাদ
শহীদ দ্বীনের তরে।
মোঃ নাজিম উদ্দিন
১০ মহররম ১৪৪৩ হিজরী