তবুও কবিতা
কবিতার দুয়ারে সেদিন তালা দেবো ভেবেছিলাম…
ভেবেছিলাম, কবিতার দুনিয়ায় কে আর থাকবে?
ভেবেছিলাম, কলম বন্ধ করে, শব্দকে নৈঃশব্দে নিয়ে
চুপিসারে শুধু দেখে থাকবো, এ রঙ্গমঞ্চ….
ভেবেছিলাম, কী হবে এ কাব্য অনুরণনে, অনভূতিতে?
কী হবে কাব্যে, মানুষ যখন বিষয়ে বৈষয়িক!
কী হবে সুরে, কিছু মানুষ যখন পশুর রূপে?
কী হবে ছন্দে, কিছু মানুষ যখন নিয়ত মগ্ন মন্দে?
কী হবে গানে, এ ভব বাগান যখন লিপ্ত নিত্য দ্বন্ধে?
কার জন্য কবিতা? মনুষ্যত্ব যখন হারিয়েছে তেজস্বিতা?
কেন কবিতা? পশুত্ব যেখানে নিত্য অপরাজিতা!
কেনই বা কাব্য সুর? স্বার্থের বিনষ্ট যখন সম্পর্কের অন্তঃপুর!
সেখানে কবিতা কি পারে ঘোমটা খুলে সহাস্যে বলতে,
জড়তা ভুলে প্রেমবার্তা নিয়ে ভুলে করে ভুলগুলো ভুলতে;
আত্মিক প্রাপ্তির সমারোহ প্রাচুর্য বয়ে আনতে….
তবু্ও কবিতা টানে, কবিতা বাঁচে প্রাণে
আনে আকাঙ্খিত রুচি, রং, স্নিগ্ধতা জীবনে,
তবুও কবিতার মতো বেঁচে থাকে স্বপ্ন নিমগ্ন
তবুও কবিতার মতো আশার দ্বীপ জাগে প্রাণে..
মোঃ নাজিম উদ্দিন
১৭ মে, ২০২২