জুমা দিবসের ভাবনা-১৪:
সম্মানের ভিত্তি খোদাভীতি
—
তাকওয়া শব্দের এর আভিধানিক অর্থ হলো ভয় করা, বিরত থাকা, আত্মশুদ্ধি অর্জন করা প্রভৃতি।
তাকওয়া বা খোদাভীতি মানুষের জীবনের সব পাপ-পঙ্কিলতা দূর করে; তাকে আল্লাহওয়ালার এক আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে।
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা মর্যাদাবান ওই ব্যক্তি যে অধিক তাকওয়াবান অর্থাৎ খোদাভীরু। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত-১৩)।
তাকওয়া অবলম্বনে জোর নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গ অবলম্বন কর’ (তাওবা, আয়াত ১১৯)।
কোরআন ও হাদিসের আলোচনা থেকে বোঝা যায়, তাকওয়া অবলম্বন করা কতটুকু আবশ্যক এবং এর মর্যাদা কত বেশি।
বর্তমান সমাজে তাকওয়ার নমুনার প্রতি দৃষ্টি রাখলে প্রমাণ হয়ে যাবে আমরা কতটুকু তাকওয়ার অধিকারী, আমাদের অন্তরে আল্লাহর ভয় কী পরিমাণে আছে?
বাস্তবতা হলো, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে দুর্নীতি, অন্যায়, অনাচার। যার একমাত্র কারণ হলো তাকওয়াহীনতা বা আল্লাহর ভয় থেকে বিমুখতা। প্রত্যেক ব্যক্তির অন্তরে যদি তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় ঢোকানো যায়, তাহলে ওই ব্যক্তি কখনোই দুর্নীতির কাজে অগ্রসর হবে না।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, একবার রসুল (সা.)-কে প্রশ্ন করা হলো, মানুষের মাঝে আল্লাহর কাছে সর্বাধিক সম্মানিত কোন ব্যক্তি? জবাবে তিনি বললেন, ‘মানুষের মাঝে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত ওই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাকওয়ার অধিকারী’ (বুখারি, হাদিস নং-৪৪৩২)।
মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে তাকওয়াবান খোদাভীরু হিসেবে কবুল করুন। আমিন।
——————
মোঃ নাজিম উদ্দিন
ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২৪