জুমা দিবসের ভাবনা-১১
‘অন্ধ অনুসরণ করা যাবে না’
————————–
অনুসরণ বা আনুগত্য সহজ কিন্ত গভীর বিষয়। কারো কোন বৈশিষ্ঠ্য বা আচার ব্যবহার অভ্যাস অনুযায়ী চলাই অনুসরণ। তবে ইসলামে অন্ধ অনুসরণ কিংবা অন্ধ আনুগত্য একেবারে নিষিদ্ধ।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যখন তাদের বলা হয়, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তা তোমরা অনুসরণ করো; তারা বলে, না, বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের যাতে পেয়েছি, তার অনুসরণ করব…।’
(সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৭০)।
জাগতিক শৃঙ্খলার জন্য আল্লাহ মানবসমাজে কিছু মানুষকে নেতৃত্ব দান করেছেন।
নেতৃত্বস্থানীয়গণ যেমন যেকোন বিষয়ে অনুসরণীয় বক্তব্য দিবেন, তেমনি অনুসারীদের দায়িত্ব হলো কারো আনুগত্য ও অনুসরণ করার আগে কোরআন-হাদিসের আলোকে যাচাই করে নেওয়া।
মানুষের আনুগত্য চিরন্তন নয়ঃ আনুগত্যের প্রশ্নে ইসলাম ব্যক্তি বা বংশের চেয়ে ‘দ্বিনদারি’ ও ন্যায়ানুগতাকে প্রাধান্য দিয়েছে।
সুতরাং কোনো নেতৃত্ব যদি দ্বিন থেকে বিচ্যুত হয়, তবে তার আনুগত্য পরিহার করতে হবে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যদি তোমাদের নেতা হিসেবে কোনো কৃষ্ণাঙ্গ দাসকে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং সে আল্লাহর কিতাব অনুসারে তোমাদের নেতৃত্ব দেয়, তবে তার কথা শোনো এবং আনুগত্য করো।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪১৯২)
বিবেক-বুদ্ধি জলাঞ্জলী দিয়ে কোনো কিছুর অন্ধ অনুকরণ ইসলামে অনুমোদিত নয়। বাছ বিচার না করে অন্ধ অনুকরণ কখনো গ্রহণযোগ্য নয়।
বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার এ উৎকর্ষের যুগে মানুষের কাছে পরিচিত কিছু শব্দের একটু হলো “ভাইরাল” হওয়া।। কোন সত্য অনুসরণ করা যায়, কিন্তু মিথ্যা অনুসরণ করা যাচাই বাচাই ছাড়া প্রচার করে ‘ভাইরাল’ করা ইসলামের দৃষ্টিতে গর্হিত কাজ।
পবিত্র জুমার দিনে মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদঃ আল্লাহ আমাদের সঠিক জ্ঞান অর্জনের তৌফিক দান করুন।
—
মোঃ নাজিম উদ্দিন
জানুয়ারি ২৬, ২০২৪