অসংকোচ প্রকাশের ভাষা দুর্বল
যে সমাজে ভদ্রতার মাঝে দুর্বলতা খোঁজা হয়, সে সমাজে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বৃদ্ধি পাবে, সেটা স্বাভাবিক।
যে সমাজে ‘সালাম’ বা সম্মানসূচক সম্বোধনকে দেয়াকে কিছু ক্ষেত্রে নিম্নতর আচরণ হিসেবে গণ্য করা হয়, সে সমাজে ‘সালাম’ পাওয়ার জন্য উন্মুখ জনগোষ্ঠীর প্রাধান্য দেখা গেলে আশ্চর্যান্বিত হওয়ার কিছু থাকবেনা!
যে সমাজে সততা আর সরলতাকে অবমূল্যায়ন করা হয়, ক্ষেত্রবিশেষে বোকামীর ছোটভাই হিসেবে গণ্য করানহয়, সে সমাজে কপটতাকে বুদ্ধিমান বা যুগোপযোগী পন্থা হিসেবে ধরা হলে কিছু বলার থাকবেনা!
যে সমাজে ‘লেখাপড়া করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে’ শেখানো হয় খুব ছোটবেলায়, সে সমাজে মাঝে মাঝে ‘অর্থই অনর্থের মূল’ শেখানো হলেও তা মিথ্যার রূপ নেয়ঃ ফলতঃ অর্থোপার্জনই সকল ডিগ্রীো পেশা ইত্যাদির একমাত্র লক্ষ্য, ধ্যান জ্ঞান হয়ে থাকতে বাধ্য!
যে সমাজে বিদ্বানের চেয়ে বিত্তবানদের স্বীকৃতি দেয়া হয় আচারে, আচরণে, চলনে, ভূষণে, সে সমাজে বইয়ের দোকান ফুটপাতে হয়ে জুতোর দোকান এসি শো-রুমে হলে তাতে বিস্মিত হওয়ার অধিকার কম।
যে সমাজে দম্ভ, অহংকার বা আত্মম্ভরিতাকে কোন কোন ক্ষেত্রে ‘ব্যক্তিত্ব’এর সমার্থম হিসেবে ধরা হয়, সে সমাজে বিনয় ও সদাচরণ ধীরে ধীরে বিরল ও অলীক বস্তুতে পরিণত হতে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা!
—
বিচ্ছিন্ন ভাবনা
নাজিম।
জানুয়ারি ১৩, ২০২৩