অর্জন ও বর্জন
সেদিন রুমির একটা বাণী শেয়ার করেছিলাম৷ বাণীটি ছিলো কি জানা উচিত আর কি বর্জন করা উচিত- এ নিয়ে.. পোস্ট নিয়ে বন্ধুর একটা কথা ভাবিয়েছেঃ ‘আমরা সারাজীবন অর্জনের শিক্ষা পেয়েছি, বর্জনের শিক্ষা পেলাম কই?’…
আসলে তাই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের শেখানো হয়ঃ “অর্জন” করার উপায়। অর্জন করার উপকারিতা বা প্রয়োজনীয়তা। বর্জন করার গুরুত্ব ততটা সুস্পষ্টরূপে বলা হয়না।
শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে দেয়া হয় প্রথম হওয়ার তাগিদ, পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়ার তাগিদ বা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় বা সাবজেক্টে ভর্তি হতে পারার তাগিদ। ভালো বন্ধুত্ব তৈরির তাগিদ। অতপর, ভালো ক্যারিয়ার করার তাগিদ.. ইত্যাদি।
কিন্তু খুব কম পরিমাণে শেখানো হয়, কী কী বর্জন করা উচিত- সে জ্ঞান বা তথ্য আমাদের শেখানো হয় কম। খারাপ সঙ্গ বর্জন করা, লোভ বর্জন করা, অহংকার, হিংসা বা প্রতিহিংসা বর্জন ইত্যাদি শেখানো হয় না বললেই চলে।
কি কি বর্জন করা উচিত সেটা জানা অর্জনের মতোই সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
ধর্মশাস্ত্রে দেখা যায়, একটা পুণ্য করার চেয়ে একটা পাপ থেকে নিজেকে সংবরণ করার তাগিদ দেয়া হয়। ঋণ শোধ করে দায় পরিশোধ করাকে দান করে পুণ্য অর্জনের চেউে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়।
স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ক্ষেত্রেও ঔষধ গ্রহণের সাথে সাথে কিছু বদ বা স্বাস্থ্যহানিকর অভ্যাস বর্জনের প্রয়োজনীতার উপর সমভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়।
প্রদর্শনে ব্যস্ত এ সমাজ-নগর-বিশ্বজীবনে অর্জনকে যতটা না গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়, তার সিকি অংশও বর্জনের বিষয়কে তুলে ধরা হয় না।
মানুষের জীবনে প্রয়োজনীয় অর্জনের সাথে সাথে জরুরী বর্জনের উপরও গুরুত্বারোপ করা উচিত।
—
মোঃ নাজিম উদ্দিন
ডিসেম্বর ২৫, ২০২২