উইকএন্ড ভাবনাঃ মানুষ স্বভাবতই বিচিত্র!

Feb 2, 2023 | গল্প প্রবন্ধ উপন্যাস

উইকএন্ড ভাবনাঃ মানুষ স্বভাবতই বিচিত্র!

 

মানুষ যখন বুঝতে পারে, অন্য কেউ সম্পর্কের পেছনে কোন না কোন কারণ রাখে, তখন থেকে তার চলনে, বচনে, আচরণে, বচনে, বসনে দ্বৈতরূপ দেখা যায়; সে কিঞ্চিত হলেও বুঝতে পারে, কারণ-বা উদ্দেশ্যবান পক্ষের সাথে কখন, কোথায়, কার সাথে, কতক্ষণ, কোন গভীরতায় চলতে ফিরতে হবে, appearance কেমন হবে আর তার পেছনে reality কেমন হবে?

মানুষ যখন বুঝতে পারে, অপরজন শুধুমাত্র লোকদেখানো আচরণ, সম্মোহনী চলন, বলন, বচন দ্বারা সাময়িকভাবে জিতে গিযে বড় হতে চায়, সম্পর্কের গভীরতা তখন বিশাল শুন্যতায় পৌঁছে যায়ঃ নৈকট্য দূরত্বে রূপ নেয়, আন্তরিকতা রূপ নেয় শঠতার।

এসব মানুষের সংখ্যা সমাজে বেশি। এ সংখ্যাধিক্যের বিপরীতে অতি সামন্য সংখ্যক হলেও হৃদ্যতা, আন্তরিকতা, সত্যিকারের ভালোবাসায় পূর্ণ কিছু সম্পর্ক সবসময় বেঁচে থাকে। সমাজে কৃত্রিমতার ভীড়ে অকৃত্রিম সম্পর্ক, স্বার্থের ভীড়ে নিঃস্বার্থ বন্ধন,
শঠতার বিপরীতে সততা বাঁধন
বিরল হলেও বিচিত্র নয়, কদাচিত হলেও শুন্য নয়।

শেষ প্রকারের সম্পর্ক অতি গভীর শেকড়ে দৃঢ়প্রত্যয়, শক্ত বাঁধ বাঁধা প্রেমের সত্যিকারের উদাহরণ; যেখানে ত্যাগে সুখ, বিয়োগ জয়, পরাজয়ে হাসি, আনন্দে অশ্রু, বিসর্জনে অর্জন, নিঃস্বার্থ পরার্থপরতায় সাফল্য, বিরহে সার্থকতা, বিচ্ছেদেও পরিতৃপ্তি, অব্যক্ততায় বচন, নিরবতায় স্বস্তি, অপকাশিত্র হয়ে লুকিয়ে রাখাতেই যেন আসল বিজয়।

এমন সব মানুষ, এমন সব মানুষের প্রেম, ভালোবাসা, হৃদ্যতা সবসময় কাছে না থেকেও জাগ্রত, সতেজ, সক্রিয়, সুদৃঢ়, সমুন্নত থাকে। স্থান, কাল পাত্র, শরীরী, অশরীরী- সকল অবস্থাঢ যেন হৃদমাঝারে রেখে দেয় সযতনে, এঁকে দেয় প্রেমচিহ্ন; অবিচ্ছেদ্য, অবিচ্ছিন্ন….

-নাজিম
২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

লেখাটি লিখেছেন