শাসন করা তারই সাজে…’

Dec 13, 2022 | গল্প প্রবন্ধ উপন্যাস

শাসন করা তারই সাজে…’

সোহাগ করে যে, শাসন তারই সাজেঃ কথাটার সাথে সবসময় আপোষ করা যায়না৷ সোহাগ না করলে শাসন করা যাবেনা কেন? একজন যদি শাসন করার ভালো চিন্তা নিয়ে এগিয়ে আসে, তাকে নিরুৎসাহিত করার আরো একটি উপাদানঃ ‘আমার ছেলেকে শাসন করার আপনি কে?’ প্রশ্নটি।

গ্রামে আমরা দেখতাম, বাড়ি বা সমাজের বড় বা মুরুব্বিদের কেউ দুষ্টু, দুরন্ত শিশু কিশোরদের অতি দুষ্টুমিতে বকা/ ডাক দিতেন, শাসন করতেন। অনেক সময় পরিবারের সদস্যরাও বাড়ির বড়ভাইদের ডাকতেন, শাসন করার জন্য। কখনো শুনিনি ঘরের সদস্যরা শাসনকারী প্রতিবেশিদের কিছু বলতে বা তাদের উপর অসন্তুষ্ট হতে।
কিন্তু অধুনা পিতা বা মাতা বা অভিভাবকদের শুনা যায় শাসনকারীদের প্রতি অসন্তোষ প্রদর্শনে। এমনকিনসে অসন্তোষ প্রতিবাদেও রূপ নেয়।

আর ঠিক এ আচরণ মানসিকতার ফলে ধীরে ধীরে তৈরি হয়েছে একটা অপ্রত্যাশিত মানসিকতাঃ
”আমার কি?” বা ”আমার দরকার কি?”-।।

আর এর ফলেই বেড়ে যায় দুরন্ত বা দুষ্ট শিশু কিশোরদের অবাধ্যতা বা উগ্র আচরণ যা ক্ষেত্রবিশেষে রূপ নেয় চরম অবাধ্যতা, উশৃংখলতা…

নও ‘কিশোর গ্যাং’ শব্দ তখন শোনা না গেলেও এখন তা রূপ নিয়েছে মহামারী হিসেবে।।

আমরা যদি আমাদের বাল্যকালকেই ‘সেকাল’ বলি, তাহলে দেখি, শিক্ষকের মর্যাদা ছিলো সর্বাগ্রে। দুষ্ট শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ শিক্ষককে বলতেন, “স্যার, প্রয়োজনে কঠোর শাস্তি দিবেন, শুধু গায়ে চামড়াটা থাকলে হবে, হাড্ডি মাংসের দেকার নেই”।

এমন অধিকার ও আন্তরিকতা নিয়ে শাসন করতে বলেই তখন দেখা যেতোনা কিশোর গ্যাং, না দেখা যেতো মাদকসেবনের প্রবণতা।
তাছাড়া, যত ধনী বা প্রভাবশালী অভিভাবকই হোক না কেন, শিক্ষক বা সিনিয়র প্রতিবেশিদের কাছে কৈফিয়ত চেয়ে, ‘আমার ছেলে করেছে, তাতে আপনার কী’- এমন দৃষ্টতা দেখানোর চিন্তাই ছিলোনা বিধায় সমাজে ছিলো শৃঙ্খলাো ছিলো মূল্যবোধ, মমত্ববোধ ও দেশাত্মবোধ।

আমাদের সমাজে ফিরে আসুক শৃঙ্খলা, শিশু কিশোরেরা খুঁজে পাক সুন্দর পরিবেশ, প্রতিবেশ।।।


নাজিম
ডিসেম্বর ১৩, ২০২২

 

 

 

লেখাটি লিখেছেন