মানুষের অভিযোজনঃ অভিযোজনের মানুষ

Jul 21, 2022 | গল্প প্রবন্ধ উপন্যাস

মানুষের অভিযোজনঃ অভিযোজনের মানুষ

গুহার এক কোণে ভয়ার্ত দ্বিপদী জীব কখনো কি ভেবেবেছিলো, তাদের উত্তরসূরীরা একদিন বেশিরভাগ পৃথিবী শাসন করবে?
অভিযোজনের ফলে একের পর এক বৈরি পরিববেশে খাপ খাইতে পেরেছে তারা…

অভিযোজন হলো কোন নির্দিষ্ট পরিবেশে সুষ্ঠ ভাবে বেঁচে থাকা এবং বংশবিস্তারের জন্য জীবের যে অঙ্গসংস্থানিক, শারীরবৃত্তীয় ও আচরণগত দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন ঘটে , তাকে অভিযোজন বলে।

বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী জীব মানুষ (হোমো স্যাপিয়েন্স) কিভাবে প্রতিকূল পরিবেশের সাথে দারুনভাবে খাপ খেতে পারে, তা সত্যিই ভাবনার বিষয়।

অভিযোজনক্ষম মানুষদের কিছু চমৎকার বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
তারা অনুসন্ধিৎসু। তারা নতুন আইডিয়া, পদ্ধতি এবং পরিবেশের প্রতি মানসিকভাবে উন্মুক্ত থাকে।

তারা ব্যর্থতার প্রতি ভীতিহীন।
সবসময়েই নতুন আইডিয়া কাজ করবে না- এটাই স্বাভাবিক জেনে এই সত্যটি জানে এবং তারা বেশ ভালোভাবেই তা গ্রহণ করে নিয়েছে।

তারা নিজেকে প্রেরণা দেয়।
নিজের সাথে কথা বলা, নিজেকে প্রেরণা দেয়। ইতিবাচক সেলফ টকের মাধ্যমে নিজের মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা যায়।

তারা কৌতূহলী। তারা শেখে এবং সবসময় একটা শেখার চর্চার মধ্যেই থাকে।
তারা প্রগতিশীল। তারা নির্দিষ্ট কোনো জ্ঞান ও দক্ষতা শিখে নেয় এবং সেগুলো প্রয়োগ করায় পারদর্শী হয়ে ওঠে।
তারা অহেতুক দোষারোপ করে না।
তারা সমাজের অন্য কারো মতামতের উপর ভিত্তি করে নিজেকে অহেতুক দোষারোপ করে না।

তারা মুক্তচিন্তার মানুষদের সাহচর্য্যঃ
মানুষ তাদেরকেই নিজের সঙ্গী এবং বন্ধু বানায় যারা একইরকম বিশ্বাস এবং আগ্রহ শেয়ার করে।

‘শিক্ষার উদ্দেশ্য সংগতিবিধান বা অভিযোজন’- কথাটা কার জানা নেই, তবে এ কথার গভীরতা অনেক।

বর্তমান প্রেক্ষাপটঃ
বৈশ্বিক মহামারি, মহামারি পরবর্তী বৈশ্বিক সংকট, যুদ্ধবিগ্রহ, বৈশ্বিক উঞ্চতা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অতি শীতের দেশে তাপমাত্রার বৃদ্ধি ইত্যাদি অস্বাভাবিকতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেই প্রস্তর যুগ, গুহার যুগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যুগে যুগে মানুষ সহজাত অভিযোজনক্ষমতা দ্বারা পৃথিবীতে তার শক্তিমত্তা বজায় রেখে টিকে আছে। হয়তো বহুদিন, পৃথিবী শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত থাকবে…

 


মোঃ নাজিম উদ্দিন
জুলাই ২২, ২০২২

লেখাটি লিখেছেন