কোরআনে আশার বাণী ও মোটিভেশনঃ

Jul 23, 2022 | আত্মউন্নয়ন ও মোটিভেশন, ধর্ম, জীবন এবং জীবনভাবনা

View : 132
 

#কোরআন থেকে নেয়া -০১

কোরআনে আশার বাণী ও মোটিভেশনঃ


জীবন সংসারে আমরা শঙ্কা, আশঙ্কা, উদ্বেগ, উৎকন্ঠা, অনিশ্চয়তা, অজানা ভীতি, হতাশা, বিপদ, বিপত্তি, বিফলতা বা ব্যর্থতা, হারানোর বেদনা, অপ্রাপ্তির কষ্ট ইত্যাদিতে পতিত হই। এ কষ্টে কেউ নিজেদের গতি ধরে রাখতে পারি, কেউ গতিহীন হয়ে বিমর্ষ হয়ে পড়ি।

তবুও জীবন তার আপন গতিতে চলে। আমি থেমে থাকলে যেমন সবাই থেমে থাকেনা, আমার বেদনা বা বিমর্ষতা যেমন অন্য অনেকের আনন্দ মলিন করেনা, তেমনি আমার এ কষ্ট মেনে না নিয়ে গত্যন্তরও থাকেনা।

তবে এ সংকট, সংকীর্ণতা, উৎকন্ঠা থেকে মুক্তি পেতে অনেক অনুপ্রেরণার খোঁজ করি। আজ থেকে প্রায় সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় নবীর মাধ্যমে পবিত্র কোরআনে জীবনের সকল সংকট, সমস্যা, হতাশা থেকে উত্তরণের সমাধান বা দীর্ঘস্থায়ী পথনির্দেশনা দিয়েছেন।

আমরা যারা ধর্মীয় বিষয়ে কোনভাবেই গভীর জ্ঞান রাখিনা, তারাও অনুবাদ পড়ে, জেনে কিছু বিষয় দেখে যারপরনাই বিস্মিত হই।
কী অদ্ভুত মোটিভেশনের শব্দমালা, কত নিপুণ, নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করেছেন মহান আল্লাহ।
আমাদের জীবনে কীরূপ সংকটে পতিত হতে পারি, আর সেসব সংকট থেকে উত্তরণে আমাদের ভূমিকা ক্রি হওয়া উচিত- তা যেন সাবলীলভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন এ জীবনবিধান কোরআনে।

তেমন কিছু মোটিভেশনাল, জীবন ও জীবনবোধ পরিবর্তনের কথা তুলে ধরবো আজ।

প্রথমতঃ দেখুন, আমাদের জীবনে বিপদ-সংকট নিয়ে কোরআনে কী বলা আছে-

“আমি অবশ্যই তোমাদের কিছু না কিছু দিয়ে পরীক্ষায় ফেলবই : মাঝে মধ্যে তোমাদের বিপদের আতঙ্ক, ক্ষুধার কষ্ট দিয়ে, সম্পদ, জীবন, পণ্য ফল-ফসল হারানোর মধ্য দিয়ে। আর যারা কষ্টের মধ্যেও ধৈর্য-নিষ্ঠার সঙ্গে চেষ্টা করে, তাদের সুখবর দাও।
(আল-বাক্বারাহ আয়াত : ১৫৫)

দ্বিতীয়ঃ আল্লাহ শিখিয়েছেন কীভাবে হতাশাগ্রস্থ হওয়া থেকে মুক্ত থাকতে শিখিয়েছেনঃ

‘তোমরা হতাশ হয়ো না এবং দুঃখ কোরো না, যদি তোমরা মুমিন হও, তবে তোমরা জয়ী হবেই। ‘ (সুরা ৩ আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৯)।

তৃতীয়তঃ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ কষ্টের সাথে মোকাবিলায় এবার চিরস্থায়ী সমাধান দিয়েছেনঃ

“কষ্টের সঙ্গেই তো স্বস্তি আছে, অবশ্যই কষ্টের সঙ্গেই স্বস্তি রয়েছে।” (সুরা ৯৪ ইনশিরাহ, আয়াত: ৫-৬)।

চতুর্থতঃ কীভাবে সকল কষ্টের
“হে আমার রব! তোমাকে ডেকে আমি কখনও ব্যর্থ হইনি।”
(সূরা মারইয়াম:৪)

অতঃপর, পঞ্চমত, তিনি দিয়েছেন কী দারুন আশ্বাস, সুসংবাদ!
এ আশ্বাসে নেই কোন সংশয়, নেই কোন May be, নেই কোন doubt!
যেন “লারাইবা ফিহে…”

আর এ আশ্বাস, প্রতিশ্রুতি খোদ রবের পক্ষ থেকেই…

“শীঘ্রই তোমার প্রতিপালক তোমাকে (এত নি‘মাত) দিবেন যার ফলে তুমি সন্তুষ্ট হয়ে যাবে।”
(সুরা আদ-দুহা। আয়াতঃ ৫)..

আমরা যেন কখনো হতাশ না হই। কখনো ভেঙ্গে না পড়ি। কখনো যেন রবের করুণার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ না করি।

আল্লাহ আমাদের দুজাহানে রবের অপরিসীম দয়ায় সফল করুন। আমিন।


মোঃ নাজিম উদ্দিন
২৩ জুলাই, ২০২২