ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি-রাজনীতি

[tdc_zone type=”tdc_content”][vc_row][vc_column width=”5″][td_block_text_with_title custom_title=”ইতিহাস–ঐতিহ্য, সংস্কৃতি–রাজনীতি”]

ইতিহাসঃ
ঘটে যাওয়া অতীতের যে অংশটুকু আমরা বর্তমানে চলমান ও সক্রিয় রাখি, তাকে সাধারণত অতীতের কোটায় ফেলি। অতীত ইতিহাস কখনো নিঃশেষ হয় না বরং সময়ের সাথে সাথে তার আবেদন সুদৃঢ়, সুসংহত হয়।
উইকিপিডিয়াতে বলা আছে, ইতিহাস হল মানুষের অতীত ঘটনা ও কার্যাবলীর অধ্যয়ন।[১][২][৩] বৃহৎ একটি বিষয় হওয়া সত্ত্বেও এটি কখনও মানবিক বিজ্ঞান এবং কখনও বা সামাজিক বিজ্ঞানের একটি শাখা হিসেবে আলোচিত হয়েছে। অনেকেই ইতিহাসকে মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞানের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে দেখেন। কারণ ইতিহাসে এই উভয়বিধ শাস্ত্র থেকেই পদ্ধতিগত সাহায্য ও বিভিন্ন উপাদান নেয়া হয়। একটি শাস্ত্র হিসেবে ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অনেকগুলো উপবিভাগের নাম চলে আসে: দিনপঞ্জি, ইতিহাস-লিখন, কুলজি শাস্ত্র, পালিওগ্রাফি এবং ক্লায়োমেট্রিক্‌স। স্বাভাবিক প্রথা অনুসারে ইতিহাসবেত্তাগণ ইতিহাসের লিখিত উপাদানের মাধ্যমে বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেন, যদিও কেবল লিখিত উপাদান হতে ইতিহাসে সকল তত্ত্ব উদ্ধার করা সম্ভব নয়। ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে যে উৎসগুলো বিবেচনা করা হয়, সেগুলোকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়: লিখিত, মৌখিক এবং শারীরিক বা প্রত্যক্ষ করণ। ইতিহাসবেত্তারা সাধারণত তিনটি উৎসই পরখ করে দেখেন। তবে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে লিখিত উপাদান সর্বজন স্বীকৃত। এই উৎসটির সাথে লিখন পদ্ধতির ইতিহাস অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত হেরোডোটাসকে ইতিহাসের জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

ঐতিহ্যঃ
আভিধানিক অর্থে ঐতিহ্য বলতে বুঝায় গৌরবময় অতীত কাহিনী বা পরম্পরাগত কাহিনী।
ইতিহাস ও ঐতিহ্য এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য অনেক। ঐতিহ্য হচ্ছে এমন কিছু যা অনেক বছর ধরে ধরে কোন মানবগোষ্ঠীর মধ্যে বর্তমান রয়েছে, যেমন কোন অভ্যাস, আচার-অনুষ্ঠান, প্রথা বা এমন কোন স্থাপনা যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। আর  হসময়ের পরিক্রমায় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন দেশ বা জনপদ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

সংস্কৃতি (বা কৃষ্টি)ঃ
সংস্কৃতি একটি বুহৎ বিষয়। (ইংরেজি: Culture, কালচার) হলো সেই জটিল সামগ্রিকতা যাতে অন্তর্গত আছে জ্ঞান, বিশ্বাস, নৈতিকতা, শিল্প, আইন, আচার এবং সমাজের একজন সদস্য হিসেবে মানুষের দ্বারা অর্জিত অন্য যেকোনো সম্ভাব্য সামর্থ্য বা অভ্যাস।[১]ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত ভাষাতত্ত্বের অধ্যাপিকা হেলেন স্পেনসার-ওটেইয়ের মতে, সংস্কৃতি হলো কিছু বুনিয়াদি অনুমান, মূল্যবোধ ও জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির, বিশ্বাস, নীতিমালা, প্রক্রিয়া এবং আচরণিক প্রথার অস্পষ্ট সমষ্টি–যা এক দল মানুষ ভাগ করে নেয় এবং সেই সমষ্টি দলের প্রত্যেক সদস্যের আচরণকে এবং তার নিকট অন্য সদস্যের আচরণের ‘অর্থ’ বা সংজ্ঞায়নকে প্রভাবিত করে (কিন্তু নির্ধারিত করে না)।[২]

রাজনীতিঃ
রাজনীতি বলতে সেইসব নীতিকে বলা হয় যেসব নীতি অনুসরণের মাধ্যমে  একটি জাতি বা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়ে থাকে। সংজ্ঞা বর্ণনা করতে গেলে বলা যায় : রাজনীতি হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কিছুসংখ্যক ব্যাক্তির সমন্বয়ে গঠিত একটি দল পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সাধারণ ভাবে নাগরিক সরকার পরিচালনাকেই রাজনীতি বলা হয় তবে এছাড়াও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণ প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অর্থাত যেসব স্থানে মানুষের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক ও বসবাস বিদ্যমান সেখানেই রাজনীতির চর্চা হয়ে থাকে।

ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি-রাজনীতি এ চার গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা, সমালোচনা, জ্ঞানগর্ভ ও বিশ্লেষণধর্মী আলোকপাত হবে লেখকবাংলাদেশ.কম এর এ অধ্যায়।

[/td_block_text_with_title][/vc_column][vc_column width=”7″][td_block_5 limit=”50″ custom_title=”Related Post” category_id=”38″][/vc_column][/vc_row][/tdc_zone]