আন্তজার্তিক স্বেচ্ছাসেবী দিবস: দেশের বিভিন্ন স্থানের কিছু প্রিয় স্বেচ্ছাসেবী তরুণের কথা

Sep 7, 2020 | মানুষ মানুষের জন্য | 0 comments

“মানুষ মানুষের জন্য” এ মহান ব্রত হৃদয় ও মননে ধারণ করে যুগ যুগ ধরে অনেক ব্যক্তি ও সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে।
কেউ কেউ প্রচার ও প্রসারের কারণে সুপরিচিত, কেউ সামান্য প্রচার, বা অনেক ক্ষেত্রে অলক্ষেই কাজ করে জনস্বার্থে।

আমার জানা তেমন কিছু তরুণের কথা বলতে চাই আজ আন্তজার্তিক স্বেচ্ছাসেবী দিবসে।
সে সব তরুণদের কিছু তথ্য দিয়ে।
তারা খুব বড় আঙ্গিকে কোন স্বেচ্ছাসেবা দিচ্ছে তেমন বলব না,
কিন্তু নিজের সাধ ও সামর্থ্যের ফারাকের মধ্যেও কাজ করে যাচ্ছে নিয়ত:

১) কুড়িগ্রামের রৌমারীর মামুন:
Sterling de Mamun

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী: সীমান্ত এলাকা; দারিদ্র, শীত কষ্ট সহ নানা সমস্যাকীর্ন এলাকা। সেখানে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করে দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে নিয়ত কাজ করে ঢাকা আর কুড়িগ্রাম আসা-যাওয়া করা এই তরুণ উদ্যোক্তা, নবীন লেখক।
Welfare of Humanity নামক দেশব্যাপী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অন্যতম সক্রিয় কর্মী, অনলাইনে লেখালেখি গ্রুপ “ইচ্ছে লিখন” এর প্রতিষ্ঠাতাও।

আপনি যদি চান, দেশের যে কোন জেলায় বসে কুড়িগ্রাম বা রৌমারীর দুঃস্থ মানুষের কাছে কিছু সহায়তা পাঠাবেন, অনায়াসে এই তরুণ আন্তরিকতা ও উজাড় করে দেয়া সহায়তায় এগিয়ে আসবে, নিঃস্বার্থে।
আমার সাথে দেখা শুধু একবার, কিন্তু সম্পর্কের গভীরতা যেন অনেক দিনের…. সদা হাসির মিষ্টভাষী এই তরুণ মামুনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ।

২) লালমনিরহাটের মেহেদী:..
Ahm Mahedi Hasan

পাড়ালেখার পাশাপাশি ছোট্ট ব্যবসার উদ্যোগ নিয়ে ঢাকায় মিনি-কারখানা তৈরী করা সুদর্শন তরুণ মেহেদী হাসান শুভ্র। ঢাকায় পড়াশুনা ও ব্যবসায় উদ্যোগে ব্যস্ত থাকলেও নিজ গ্রামে ছুটে চলে নাড়ির টানে, গাঁয়ের মানুষের পানে। নিজের কারখানায় ব্যবস্থা করেছে বেশ কিছু তারুণ্যের জন্য কর্মসংস্থান।

আশা অনেক বড় হবার। “নিজের বলার মত একটা গল্প” তৈরি করে পরিপূর্ণ “ভালো মানুষ” হবার শিক্ষা নেন “লিডার অব ডা ইয়ুথ” ইকবাল বাহার স্যারের কাছে। শুধু কথা হয় মাঝে মাঝে, বড় ভাইয়ের মত সম্মানের চোখে ভালোবাসে কী এক দীর্ঘ আন্তরিকতায়।
অনেক শুভ কামনা ছোট ভাই।

৩) চট্টগ্রামের লোহাগড়ার ডা: আজাদ
Hamid Hossain Azad

ডা: হামিদ হোসাইন আজাদ। মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নকালীন সহপাঠীদের নিয়ে গঠন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “ইয়ুথ ফর ওয়েলফেয়ার”, জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় নিজেদের খরচে জনসেবায় সম্পন্ন করে ৩০এর অধিক হ্যালথ ক্যাম্প, দু একটিতে তার আমন্ত্রণে যাওয়ার সুযোগও হয়েছে আমার। সম্প্রতি গঠন করে YSAB আর অনলাইনভিত্তিক বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা সংগঠন Health Corner-Ctg Chapter.. আছে অভিনব পরিকল্পনাও। পেশায় ডাক্তার তরুণ স্বেচ্ছাসেবক প্রিয় ছোটভাই ডা: আজাদের জন্য রইল দোয়া ও শুভ কামনা।

৪) রাউজানের শাহাব উদ্দিন:
Shahab Uddin Ahmad
আমার গ্রামের পাশের বাড়ির এই স্নাতকোত্তর তরুণ; ত্রিশের আগেই গঠন করেছে সরকারী স্বীকৃতি প্রাপ্ত নিবন্ধিত সংগঠন তারুণ্য সংসদ; নিজ উদ্যোগে পারিবারিক ভাবে প্রতিষ্টা করেছে “আপন ভুবন” পাঠাগার; সম্প্রতি গঠন করে “যুব উন্নয়ন ও পাঠাগার আন্দোলন”, অতিসম্প্রতি পেল স্বীকৃতিও। করে লেখালেখিও। কাজ করছে রাউজানের সুদীর্ঘ ইতিহাস নিয়ে গ্রন্থনা। শারীরিক আকৃতি খর্বকায় হলেও অনেক উন্নত মনন ও আন্তরিক স্বেচ্ছাসেবক এই তরুণ শিক্ষক ও উদ্যোক্তার জন্য নিরন্তর শুভাশিস, শুভকামনা।

আমার গ্রামের তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা:
রাউজান মোহাম্মদপুরে অগ্রজ স্বেচ্ছাসেবী তরুণ-যুবাদের মধ্যে রয়েছেন, আমেরিকা প্রবাসী সিরাজুম মুনির, সিদ্দিক সারাং ফাউন্ডেশন এর গোলাম মামুন জাবু,
সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষক সায়ীদ করিম, লায়ন কামরুল ইসলাম পারভেজ (বর্তমানে ব্যাংকার), স্মার্ট চ্যালেঞ্জার্স এর শাহ নেওয়াজ, তারুণ্য সংসদের সুমন, রবি -১, আরিফ, রবি-২, বয়েজ ক্লাবের কুতুব, হেল্প ফাউন্ডেশন এর নজরুল ও জিল্লু, রানাসহ অনেকে, একের পর এক নিত্য নতুন আয়োজনে কাজ করে যাচ্ছে সমাজ উন্নয়নে, দুস্থ মানুষের কল্যাণে।।
কনকনে শীতে দুস্থ মানুষের মাঝে সেবার উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ুক, এই কামনা।।।।
মানবতার গানে উড্ডীন হোক বিজয়ের সুর….

লেখাটি লিখেছেন